স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ ঘাট আছে, পন্টুনও আছে। তবে একটা থেকে আরেকটা বিচ্ছিন্ন। আর এতে করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমন্ডল লঞ্চঘাটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় হাঁটুপানিতে নেমে তাদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চরমন্ডল লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ৪০ গজ দূরে অল্প পানির মধ্যে বিআইডব্লিউটি-এর একটি পন্টুন রয়েছে। সেখানে পানি অল্প থাকায় পন্টুনটিতে লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তাই পন্টুনের পরিবর্তে ঘাটলায় লঞ্চ ভেড়ানো হয়।
তবে ঘাটলা নিচু থাকায় লঞ্চে ওঠানামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আবার জোয়ারের সময় ঘাটলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাঁটুপানিতে নেমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে। চরমন্ডল লঞ্চঘাটের কয়েকজন যাত্রী জানান, তিন মাস আগে চরমন্ডল লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) একটি পন্টুন স্থাপন করে। তবে ঘাট থেকে দূরে রাখার কারণে পন্টুনটি যাত্রীদের কোন উপকারেই আসে না। অথচ এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক যাত্রী লঞ্চে ওঠানামা করে। লঞ্চযাত্রী আইয়ুব খান অভিযোগ করেন, এখানে ঘাট টিকেট কাটলেও কোন সেবা নেই। দীর্ঘদিন পর একটা পন্টুন দিয়েছে, তাও কাজে আসছে না। চরমন্ডল লঞ্চঘাটে টিকেট কাটার দায়িত্বে নিয়োজিত জহিরুল ইসলাম জানান, পন্টুন লাগিয়ে লোকজন চলে গেছে। পন্টুনে লঞ্চ-ট্রলার কিছুই ভিড়তে পারে না। এ পন্টুন কোন উপকারেই আসছে না। চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, ঘাটের সঙ্গে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। এটি ঘাটের সঙ্গে স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: