ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বিল

যৌতুকের মিথ্যা মামলা করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৬ জুন ২০১৮

যৌতুকের মিথ্যা মামলা করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড

সংসদ রিপোর্টার ॥ যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করার প্রস্তাব সংসদে তোলা হয়েছে। যৌতুক প্রদান, গ্রহণ বা যৌতুকে সহায়তা বা চুক্তি করলেও একই সাজার বিধান রাখা হয়েছে। সোমবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল নামে অপর একটি নতুন বিল সংসদে উত্থাপন করেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা হয়। ১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোন দ-ের বিধান ছিল না। উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হবে। যদি বিয়ের কোন এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে বিলে। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে। বিলের কারণ ও উদ্দেশ্যে সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের নারীর প্রতি সকল প্রকাশ বৈষম্য বিলোপ সনদ, ১৯৭৯ এর স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে নারী অধিকার বিষয়ক অনেক নীতিমালাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা। এ কারণে অনেক সময় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাধাগ্রস্ত হয়।
×