ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসী ছেলে নিয়ে ফেরার পথে ডাকাতের ট্রাক চাপায় পিতা নিহত

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১০ জুন ২০১৮

প্রবাসী ছেলে নিয়ে ফেরার পথে ডাকাতের ট্রাক চাপায় পিতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় আশরাফ হোসেন আশা (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস ও ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করেছে ডাকাতরা। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে চৌগাছা-ব্যাঙদা ভায়া কাবিলপুর সড়কের শাহাজাদপুর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশরাফ হোসেন আশা উপজেলার ধুলিয়ানি ইউনিয়নের ছোট কাবিলপুর গ্রামের আনছার আলীর পুত্র। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের একপুত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে, আরেক পুত্র বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। নিহতের পুত্র জসিম উদ্দিন জানান, তিনি কিছুদিন আগে কাতার গিয়েছিলেন। সেখানে সমস্যা হওয়ায় শুক্রবার সকালে দেশে ফেরেন। ঢাকা থেকে বাসে করে শুক্রবার রাত দশটার দিকে তিনি চৌগাছায় বাজারে পৌঁছান। পিতা আশরাফ হোসেন মোটরসাইকেলে ছেলেকে নিতে চৌগাছা যান। জসিম ও আশরাফ হোসেন মোটরসাইকেলযোগে চৌগাছা থেকে ছোট কাবিলপুর ফিরছিলেন। শাহাজাদপুর বিজিবি ক্যাম্পের উত্তর পাশে ৭-৮ জনের ডাকাত দল সড়কে একটি ট্রাক আড় করে গাছে দড়ি বেঁধে রাখে। ডাকাতদের বেঁধে রাখা দড়িতে জড়িয়ে আশরাফ হোসেন ও জসিম উদ্দিন সড়কে পড়ে যান। এ সময় ভয়ে জসিম উদ্দিন দৌড়ে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে ডাকাতরা প্রথমে আশরাফ হোসেন আশাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল এবং সঙ্গে থাকা লাগেজ ট্রাকে উঠিয়ে নেয়। পরে লাশের ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে চলে যায়। ডাকাতরা চলে গেলে জসিম উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেখেন আশরাফ হোসেন আশা মারা গেছেন। বিদ্যুতের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বিদ্যুতের দাবিতে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালা বাজার এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এতে মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। সিলেটে অগ্নিকা- স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ নগরীর জিন্দাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা গলিতে অগ্নিকা-ে ৩টি প্রিন্টিং প্রেস ভস্মীভূত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই অগ্নিকা- ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সুমাইয়া প্রিন্টিং, আর আর প্রিন্টিং ও তাজিম অফসেট প্রেস। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার তাদের মার্কেট বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
×