ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৬ মে ২০১৮

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে চার জন করে ৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় তিনজন, নাটোর ও চট্টগ্রামে একজন করে দুজন নিহত হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের। ময়মনসিংহ মুক্তাগাছায় ট্রাক- অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোররিক্সার চালকসহ চার জন নিহত ও দুই আরোহী আহত হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে মুক্তাগাছার খাজুলিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন (৩৮) ও কমলাপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান লেবু (৪৫)। অপর ২ জনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহাম্মদ মোল্লা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মুক্তাগাছা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপজেলার গাবতলী এলাকায় টাঙ্গাইলগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটো রিক্সার চালকসহ ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় ৩ জন। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নেয়ার পথে মারা যায় আরও একজন। মাধবপুর, হবিগঞ্জ মাধবপুরে পাথরবাহী ট্রাক ও একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার হরিতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে ২ জনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি নিহত দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের দিরাই জোনের ওয়ার ইন্সট্রাকটর (মেরামত প্রশিক্ষক) শ্যামল কুমার সাহা (৪৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ গিহিপাড়া গ্রামের মৃত দ্বিজেন চন্দ্র সাহার ছেলে অপর নিহত ব্যক্তি হচ্ছেন নরসিংদী এলাকার ফরহাদ আহাম্মেদ (৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজুর (৩২) বুলবুল (৩৬), সায়েরা জাহান (৩০) রবিউল ইসলাম (২৮), কাশেম মিয়া (১৮) কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ওসি জসিম উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার হরিতলা নামক স্থানে শ্যামলী পরিবহনের সিলেটগামী একটি বাস পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পল্লী বিদ্যুতের ইন্সট্রাকটর শ্যামলসহ ৩ জন নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদী এলাকার ফরহাদ আহাম্মেদকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের দু পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। চুয়াডাঙ্গা আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রাপুর মজার পুকুরের পাশে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী আহসান হাবিব ওরফে তপন (৪০) নিহত হন। আহত হন তার শিশু সন্তান তৌফিক আজিজ ও তার ভাইয়ের ছেলে আতিকুর রহমান। আহসান হাবিব জয়রামপুর চৌধুরী পাড়ার মরহুম আলাউদ্দীন মিয়ার ছেলে। এদিন দুপুর দেড়টার দিকে একই উপজেলায় দর্শনায় ট্রাক ও পাওয়ার ট্রলির সংঘর্ষ হয়। এতে পাওয়ার ট্রলির চালক রুহুল আমিন (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। রুহুল আমিন দর্শনার পার্শ্ববর্তী উজলপুর গ্রামের মরহুম আনারের ছেলে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কাথুলী গ্রামে আলমসাধুর ধাক্কায় সুফিয়া বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাস্তা অতিক্রম করতে গিয়ে আলমসাধুর সঙ্গে ধাক্কা খান। নাটোর বড়াইগ্রামে কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মানিক নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মানিককে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। নিহত মানিক জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউসি মধ্যপাড়ার হাসান আলীর ছেলে। ফায়ার সার্ভিস কর্মী হারুন অর রশিদ জানায়, মঙ্গলবার সকালে মানিক কাভার্ডভ্যান নিয়ে ঢাকা থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকায় কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে কাভার্ডভানের মাথা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে মানিক ভেতরে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে কাভার্ডভ্যানের চালকের কেবিন কেটে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় মানিকের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও অপর পা থেতলে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে সে মারা যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মানিক মারা গেছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় বাসচাপায় পোশাক কারখানার এক নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তাজিবুর মোল্লা (৬১) সিইপিজেডের ডেলমাস নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার বুড়িগাঙ্গিনি গ্রামে। মঙ্গলবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভোর ৫টার দিকে নাস্তা সেরে কারখানায় প্রবেশ করছিলেন তাজিবুর মোল্লা। এ সময় একই কারখানার একটি গাড়ির চাপায় গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
×