ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পবেল ব্রাউন এনবিসিতে নিয়োগ পান ১৯৯৬-এ। নেইল শার্পিও তৎকালীন এনবিসি প্রেসিডেন্ট তাকে নিয়ে বলেন, ‘পর্দায় তার উপস্থিতি একটু অন্যরকম এবং সহজ। যেন মনে হয় পাশের বাড়ির মেয়েটি।’ এনবিসিতে রাজনৈতিক প্রচারণা ছিল তার রিপোর্টিংয়ের বিষয়। ২০০০-এ কভার করেন জর্জ ডব্

ফেসবুকের নতুন ত্রাণকর্তা ক্যাম্পবেল ব্রাউন!

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১২ মে ২০১৮

ফেসবুকের নতুন ত্রাণকর্তা ক্যাম্পবেল ব্রাউন!

মূল ॥ নেইলি বোলস অনুবাদ ॥ আকিল জামান ইনু হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধারে মরিয়া ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না কর্তারা। স্বয়ং জাকারবার্গের ক্ষমা প্রার্থনা, ভুল স্বীকার, সংশোধনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। কাটছেই না শনিরদশা। বলতেই হয় সময়টা খারাপ যাচ্ছে তাদের। আর খারাপ সময়ে পক্ষে যায় না কিছুই। নতুন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাদের ‘হেড অব নিউজ পার্টনারশিপ’ ক্যাম্পবেল ব্রাউনকে কেন্দ্র করে। আগামী দিনের মিডিয়া বিষয়ক এক সেমিনারে ফেসবুক তাকে পাঠিয়েছিল নিউইয়র্কে। সম্পাদক আর বিজ্ঞাপনদাতাদের উপস্থিতিতে রীতিমতো জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই উঠে এলো সাম্প্রতিক ক্যামব্রিজ এ্যানালাইটিকা কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, গার্ডিয়ানের রিপোর্ট নিয়ে মামলা করার আইনি নোটিস বিষয়ে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্যাম্পবেলের উত্তর, ‘বিষয়টি আমার হাতে থাকলে, আমি কিছুতেই অমনটা করতাম না।’ তিনি আরও যোগ করেন, বিষয়টিকে খুব একটা সুবিবেচনাপ্রসূত বলা যায় না। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা হতবাক। তাদের ভাবনা, সংবাদ নিয়ে কঠিন সময় পাড়ি দেয়া ফেসবুকের পরিস্থিতি উত্তরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধির এ কেমন কথা! সেদিন মঞ্চে তার পাশে বসা কলাম্বিয়া জার্নালিজম স্কুলের অধ্যাপক এমিলি বেল এর ভাষায়, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মাঝে তিনি হাতেগোনা কয়েকজনের একজন যার বক্তব্য কর্তৃপক্ষের বিপরীত।’ ৪৯ বছর বয়সী মিস ব্রাউনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাবেক সিএনএন, এনবিসি এ্যাঙ্কর ক্যাম্পবেল ব্রাউন সিলিকন ভ্যালিতে যোগ দেন ২০১৭তে। নিউজ মিডিয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত সম্পর্কের সময়ে তার যোগদানে অনেকেই হয়েছিলেন আশাবাদী। তাকে কেবল ‘শোকেস’ উইমেনের চেয়ে বেশি ভাবা হতো সব সময়। অনেকেই আবার তাকে অভিযুক্ত করছেন সাংবাদিকতার আড়ালে এক প্রতারক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে। মৃদু হাসির সঙ্গে যিনি পরিবেশন করেন উড়ো খবর, সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে সাংবাদিকতার প্রতি তার দাযবদ্ধতা নিয়ে। তবে এসব কিছুতেই কিছু যায় আসে না, বরং বিবেচ্য ফেসবুকের নীতি নির্ধারণে তার প্রভাব অন্যার্থে ফেসবুক কর্তা জাকারবার্গ কতক্ষণ তার পক্ষে আছেন। টিভি ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই ব্রাউনকে কনজারভেটিভ রাজনীতির একনিষ্ঠ প্রচারক হিসেবে দেখা গেছে। এ মুহূর্তে ফেসবুকে নিজস্ব ধারণা বাস্তবায়নে মরিয়া তিনি। হলিউড রিপোর্টার তাকে ঠাঁই দিয়েছে বছরের সেরা ৩৫ মিডিয়া ব্যক্তিত্বের তালিকায়। পেছনের কারণটা কিন্তু ফেসবুক। ২২০ কোটি মানুষের ওপর ফেসবুকের প্রভাব বিবেচনায় নেপথ্য কারিগরদের একজন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে তার অবস্থান। লাইসেন্স নিউজ কনটেন্টের জন্য এই প্রথম ফেসবুক ৯০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। মিস ব্রাউন চাইছেন মূলধারার এ্যাঙ্করদের ফেসবুকে যুক্ত করতে। ফেসবুকে তাকে নিয়োগ দেয়ার কারণও ছিল মূলধারার মিডিয়ার সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্কের উত্তাপ কমিয়ে আনা। এতদিন বিনে পয়সায় ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও মিস ব্রাউন চাইছেন ফেসবুকে পে-ওয়াল ব্যবস্থার প্রচলন করতে। ধারণাটি ফেসবুকের জন্য নতুন বৈকি। উড়ো সংবাদ কমিয়ে আনা, এমনকি কনটেন্ট পাব্লিশারদের পয়সা দিতেও ফেসবুক রাজি। তবে ব্রাউনের প্রস্তাব কতটা বাস্তবায়িত হবে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে ফেসবুক নিউজ ফিডে হার্ড নিউজের দৃশ্যমান্যতা কমিয়ে দেয়ায় মিডিয়া জগত হতাশ। রুপার্ট মারডক তো প্রকাশকদের এক হয়ে চাপ দিতে বলেছেন ফেসবুকের ওপর সংবাদ প্রকাশের জন্য। ক্যাম্পবেল ব্রাউন এনবিসিতে নিয়োগ পান ১৯৯৬-এ। নেইল শার্পিও তৎকালীন এনবিসি প্রেসিডেন্ট তাকে নিয়ে বলেন, ‘পর্দায় তার উপস্থিতি একটু অন্যরকম এবং সহজ। যেন মনে হয় পাশের বাড়ির মেয়েটি।’ এনবিসিতে রাজনৈতিক প্রচারণা ছিল তার রিপোর্টিংয়ের বিষয়। ২০০০-এ কভার করেন জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্বাচনী প্রচারণা। হরদম সিগারেট খেতেন। পার্টি দিয়ে বেড়াতেন। সহকর্মী এ্যানি কর্নব্লাটকে নিয়ে গড়ে তোলেন সামাজিক গ্রুপ চিক চ্যাট। ২০০৪-এ ইরাকে ড্যান সেনরের সঙ্গে প্রথম দেখা, বিয়ে ২০০৬-এ। ৮ এবং ১০ বছরের দুই পুত্রের জননী। বিয়ের পূর্বে স্বামীর মতে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করেন। স্বামী বর্তমানে কনজারভেটিভ বিলিওনিয়ার পল ইলিয়টের হয়ে কাজ করছেন। তাকে গণ্য করা হয় রিপাবলিকানদের জন্য তহবিল সংগ্রহে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি, প্রতিদিন সকালের সংবাদে অতিথি হিসেবেও পরিচিত মুখ সেনর। ২০১৬তে সংবাদ নিয়ে এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ব্রাউনের ডাক পড়ে ফেসবুকে। উদ্দেশ্য ছিল সংবাদ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা, তার নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয় জানুয়ারি ২০১৭তে। তবে এ নিয়োগের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো। তার নিয়োগ প্রসঙ্গে আমেরিকান প্রেস ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক টম রসেনটিল বলেন, ‘আপনি যদি সত্যিকার অর্থে মূলধারার আমেরিকান সাংবাদিকতা বুঝতে চান, সেক্ষেত্রে প্রথম জায়গা কিন্তু টেলিভিশন নয় যেখানে আপনি লোক খুঁজবেন।’ গুগলের নিউজ ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড গিংগ্রাসের মতে, ‘সে স্মার্ট, কিন্তু আমরা ভিন্ন প্রাণী।’ ওএমডির বেন উইঙ্কলারের ভাষায়, ‘একটা সময় টিভি খুললেই আপনি দেখতে পেতেন ক্যাম্পবেল ব্রাউনের মুখ। ফেসবুকে যোগ দেয়ার পর সে কোথায়?’ নিজের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকা-, লাইফস্টাইল নিয়ে তবে কি হারিয়ে যাবেন ক্যাম্পবেল ব্রাউন। নাকি আবির্ভূত হবেন ফেসবুকের ত্রাণকর্তা রূপে। উত্তর, সময়ের হাতে। উইন্ডোজ ১০ চালাবে ডিজেআই ড্রোন ভার্জ উইন্ডোজ ১০-এর জন্য একটি নতুন ড্রোন এসডিকে বানাতে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সঙ্গে জোট বাঁধছে ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজেআই। এর মাধ্যমে নতুন ড্রোনটি থেকে উইন্ডোজ ১০ চালিত পিসিতে ডেটা পাঠানো যাবে, যা ডিজেআই ড্রোনগুলোকে সরাসরি উইন্ডোজ কম্পিউটারে যুক্ত করার ব্যবস্থা করবে।ড্রোনগুলো নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে এই এসডিকে ডিজেআই ড্রোনগুলোর মাল্টিস্পেকট্রাল সেন্সর বা কাস্টম এ্যাকুরেটরের মতো হার্ডওয়্যারগুলোর মধ্যে সমন্বয় সহজ করবে। এর মাধ্যম নিজেদের ড্রোনগুলোর সাহায্যে ব্যবহারকারীদের কাজ করার পরিসরও বৃদ্ধি পাবে বলে উলেখ করা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে। এ ছাড়াও এই দুই প্রতিষ্ঠান ডিজেআই’এর বাণিজ্যিক সমাধানের জন্য পছন্দের ক্লাউড সেবাদাতা হিসেবে মাইক্রোসফট এ্যাজিউর ব্যবহারে একসঙ্গে কাজ করবে। অংশীদারিত্ব ঘোষণার অনুষ্ঠানে এই জোট বাঁধার ফল কী হতে পারে তা প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। নতুন এসডিকে প্রযুক্তিযুক্ত ও এ্যাজিউর সমর্থিত একটি ডিজেআই ম্যাভিক ড্রোন দিয়ে একটি নষ্ট পাইপের ড্রোন ফুটেজ নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই এই ছবি একটি উইন্ডোজ ১০ এ্যাপে দেখা যায়।
×