ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের রায়ে গাজীপুরে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১১ মে ২০১৮

আদালতের রায়ে  গাজীপুরে মিষ্টি  বিতরণ, আনন্দ  মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর ও নিজস্ব সংবাদদাতা টঙ্গী থেকে ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন করার আদেশ প্রদান করায় দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জেলা শহর ও টঙ্গীসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় উৎফুল্ল কর্মী সমর্থকরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গত ৬ মে আদালতে স্থগিতাদেশ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর সর্বত্র নিস্তব্ধতা বিরাজ করে। কয়েকদিন নিস্তব্ধতার পর বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হলে নির্বাচনে সব প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠে। ভোটারদের মাঝেও উৎফুল্লতা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে নির্বাচন সংক্রান্ত আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থী এবং দলের নেতারা। জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিক্রিয়া ॥ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া স্থগিতাদেশ বাতিল বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ষড়যন্ত্র করে বাদীকে দিয়ে আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছিলন। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরামর্শে একটি আপীল পিটিশনের মাধ্যমে আইনী লড়াইয়ে ওই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আদালতের আদেশ অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে সবার দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন। রায়ে হাসান উদ্দিন সরকারের সন্তোষ প্রকাশ ॥ অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তার টঙ্গীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। ওই দিনই আমি তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ‘আইনী লড়াই, মাঠের লড়াই ও জনগণের ভোটের লড়াই চালিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেই। স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে পরদিন ৭ মে নির্বাচন উচ্চ আদালতে আপীল করি। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি তাতে সফল হই। ভোটের লড়াইয়েও জনগণের সহযোগিতায় আমি সফল হব ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার আদালতে আদেশ ঘোষণার আগে থেকেই টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন মূল দলের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আশাবাদী নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
×