নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাটারি
নবায়নযোগ্য শক্তি মজুদ করে রাখতে নতুন লেড কার্বন ব্যাটারি বানিয়েছে একদল চীনা বিজ্ঞানী। সৌর প্যানেল এবং বায়ু বিদ্যুতের প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শক্তি মজুদ করে রাখতে পারবে এই ব্যাটারি। বিজ্ঞানীদের দাবি এ ধরনের ব্যাটারি দিয়ে বিদ্যুত সরবরাহ স্থির হবে। এই ব্যাটারি দিয়ে একটি শক্তি মজুদকারী ব্যবস্থার পাইলট প্রকল্প চালানো হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব চীনের লিয়াওনিং অঞ্চলের ডালিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল ফিজিক্সে। ৪৬ সড়ক বাতি এবং ল্যান্ডস্কেপ বাতি নিয়ে এ পাইলট প্রকল্পটি চালানো হয়। প্রতিটি পোস্টে একটি সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হয়। সৌর প্যানেলগুলো শক্তি উৎপাদন করে পোস্টের নিচে রাখা ব্যাটারিতে পাঠায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি পুরোপুরি চার্জ হওয়া একটি ব্যাটারি ২৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একটি সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারে। চীনের প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন এই ব্যবস্থাটি তৈরি করতে গবেষক দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক লি শিয়ানফেং এবং অধ্যাপক ঝ্যাং হুয়ামিন। বিজ্ঞানীরা বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস থেকে পাওয়া বিদ্যুত চলমান এবং স্থির নয়। ফলে এটি দিয়ে কাজ করা কষ্টকর। নতুন এই ব্যাটারি এ ধরনের উৎস থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করে। ব্যাটারি শতভাগ রিচার্জেবল এবং নিরাপদ পাইলট প্রকল্পে এমনটাই দেখা গেছে। ব্যাটারির জন্য দশটি জাতীয় পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে দলটি। -আইএএনএস
হাঙ্গর বশে আনতে
হাঙ্গর যে মাংসাশী তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং মানুষের মাংস খেতে তারা যে খুবই পছন্দ করে সেটাও বলাই বাহুল্য। সমুদ্রের এই ভয়াবহ প্রাণীটিকে নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। কত ধরনের হাঙ্গর পাওয়া যায়, তারা কী খায়, কেমন জলে থাকতে তারা পছন্দ করে এসব নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে আসছে সেই কবে থেকে। এই ভয়ানক প্রাণী সম্পর্কে এবার এক অদ্ভুত তথ্য জানালেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটির ক্যাটরিনা ভিলা-পোওকা ও তার দল জানিয়েছেন যে, হাঙ্গররা সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে দিক নির্দেশনা বুঝতে পারে এবং সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তা সম্ভব। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ‘পোর্ট জ্যাকসন’ নামে একটি হাঙ্গর শাবককে রীতিমতো মিউজিক চালিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন জ্যাজ মিউজিক চালালেই হাঙ্গর ঠিক সেই জায়গাতেই পৌঁছে যায় যেখানে খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে অন্য ধরনের সুর বাজালে পোর্ট জ্যাকসন কিছুতেই বুঝতে পারে না তাকে কোথায় যেতে হবে। ‘এ্যানিম্যাল কগনিটো’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত ক্যাটরিনা ভিলা-পোওকার গবেষণা জানাচ্ছে যে, শব্দের সঙ্গে কোন একটি কাজের সম্পর্ককে খুব ভাল করে বুঝতে পারে হাঙ্গররা। শর্ত একটাই, প্রতিটি ‘এ্যাক্টিভিটি’র পরেই তাদের মনের মতো খাবার দিতে হয়। গবেষক ক্যাটরিনা তার লেখা শেষ করেন এই বলে যে, হাঙ্গর যথেষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন একটি প্রাণী এবং তাদের খুব ভাল করেই শিক্ষা দেয়া যায়। -ওয়েবসাইট
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: