ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘হাজার কোটি ডলার ক্ষতি এ্যাপলের’

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ৫ মে ২০১৮

‘হাজার কোটি ডলার ক্ষতি এ্যাপলের’

॥ রেজা নওফল হায়দার ॥ দুই দিনেই ছয় হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট এ্যাপল। ‘মোবাইল ফোন খাতে দুর্বল চাহিদার কারণে’ দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমে যেতে পারে, সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ করেছে এ্যাপলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর। এরপরই এ্যাপলের বাজারমূল্য এমন ধাক্কা খায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে। চলতি বছর স্মার্টফোন বিক্রির গতি কমে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ্যাপলের শেয়ারমূল্য প্রায় সাত শতাংশ পড়ে যায়, শুক্রবার এই খবর প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। শুধু এ্যাপল নয়, এই খবরে বাজারমূল্য হারিয়েছে কয়েকটি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও। এগুলোর মধ্যে এ্যানালগ ডিভাইসেস, ডায়ালগ সেমিকন্ডাকটর, কোয়ালকম আর কোরভো-এর নামও রয়েছে। ২০০৯ সালের পর ২০১৭ সালেই চীনে প্রথম স্মার্টফোন বিক্রি কমে যায়। সারাবিশ্বের হিসেবে বললে ২০০৪ সালের পর কোন বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি কমে যাওয়ার নজিরও ২০১৭ সালেই প্রথম। এদিকে শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যত আইফোনগুলোর জন্য এলজি ডিসপ্লের ওলেড স্ক্রিন পাওয়ার চেষ্টা ‘উৎপাদনের অনেক খাতে আঘাত হেনেছে।’ এটিও ছিল আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি ধাক্কা। বর্তমানে এ্যাপল আইফোন ঢ-এর জন্য স্যামসাংয়ের ওলেড ডিসপ্লে­ব্যবহার করে। ওলেড ডিসপ্লের জন্য স্যামসাংয়ের জায়গায় এলজি সফল হতে পারবে কি-না সেই বিষয়ে এখনও সন্দিহান এ্যাপল। আইফোন ৮ এবং আইফোন ৮ প্লাস-এ বর্তমানে ব্যবহৃত এলসিডি ডিসপ্লেগুলো এ্যাপলকে এলজি-ই সরবরাহ করে থাকে। এ্যাপল ওয়াচের স্ক্রিনও এলজি ডিসপ্লে দিয়ে তৈরি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজেদের প্রধান কার্যালয়ের কাছে এ্যাপল গোপনে নিজস্ব ডিভাইস স্ক্রিন বানাচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে এমন খবরও পাওয়া গিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে বাজারে আনতে যাওয়া সব আইফোনেই এ্যাপল ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়।
×