স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ ভেঙ্গে পড়ার এক বছরেও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের পানখালী খালের ওপরের লোহার সেতু পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেতু পেরিয়ে স্কুলে লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীরাসহ খালের দুই পারের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানামুখী কর্মকা-। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পানখালী খালের ওপরের লোহার এ সেতুটি ৪০ বছরের পুরনো। ১৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এবং ৬ ফুট প্রস্থের এ সেতু খালের ওপর উভয় পাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষকে একত্রিত করে রেখেছে। খালের উভয় পাড়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাটবাজার রয়েছে। লেখাপড়ার জন্য খালের উভয় পাড়ে প্রতিদিন হাজারও শিক্ষার্থী সেতু পারাপার হয়। গত বছরের ৩০ এপ্রিল দুপুরে ৩০-৪০ জন শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে বিকট শব্দে আকস্মিকভাবে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয় লোকজন খালের পানিতে হাবুডুবু অবস্থা থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে। এতে ৯ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়। সরেজমিনে নতুন রং করা সেতুটি এখনও ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। খাল পারাপারে কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। মানুষজন কেনাকাটা করতে বাজারে আসতে পারছে না। ফলে এলাকার মানুষ যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
পানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নেছারউদ্দিন জানান, সেতু ভেঙ্গে পড়ে থাকার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। অভিভাবকরা ভাঙ্গা সেতুর কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে না। পাঞ্জেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে স্বীকার করে জানান, সেতু পুনঃনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত উপস্থিতি বাড়বে না। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে চরম মন্দা। হাটবাজার জমছে না।