ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট পর্দার তানজিন তিশা

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

ছোট পর্দার তানজিন তিশা

ছোট পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। নাটক, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে এক কথায় ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রথম কাজের পর অল্প অল্প করে ক্যারিয়ারে উঠতে থাকে, বর্তমানে তিশার সাফল্যের সূর্য মধ্য গগনে। ভালবাসা দিবস ও বৈশাখের বেশকিছু নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেগুলো অনেক জনয়িতা পেয়েছে। সম্প্রতি এই ব্যস্ত মানুষটির সঙ্গে কথা হয় আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেনÑ শাকিলুর রহমান আনন্দকণ্ঠ : বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? তিশা : বর্তমান ব্যস্ততা আমার পুরোপুরি অভিনয় নিয়ে। সবাই জানে বা দেখছে! ৭-৮ মাস নিয়মিত কাজ করেছি। কাজ করার পর এখন অনেক সাড়া পাচ্ছি। এখন আমি যদি চাই, তাহলে আমার অভিনয়ের জায়গাটা অনেক ভাল জায়গাই দিতে পারব। ভালবাসা দিবস ও বৈশাখের কাজে ভাল সাড়া পেয়েছি। আর এখন পুরোপুরি ব্যস্ত ঈদের কাজ নিয়ে। আর ঈদের কাজ শুরু করেছি। আমি চাই এই ঈদে দর্শকদের ভাল কিছু দিতে পারব। আনন্দকণ্ঠ : আপনার ক্যারিয়ার শুরু কিভাবে? তিশা : আমি ছোটবেলা থেকেই নাচ করি। নাচ থেকে আমার একটি ফটোশুট করা হয়। একজন ছবি দেখলে আর একজন ছবি দেখে। তার আমি কয়েকটি ফটোশুট করি। তারপর আমাকে নির্মাতা সারোয়ার ফারুকী ভাইয়ের ওখান থেকে ‘রবি’র বিজ্ঞাপনের জন্য একটি কল আসে। সেটা আমি করি। সেখানে অনেকগুলো চরিত্র ছিল। ‘রবি’সহ আরও বেশ কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে মিডিয়ায় নিজেকে ভালভাবে তিষ্ঠিত করতে শুরু করি। আমি দুই বছর মডের্লিং করেছি। তারপর নাটকে অভিনয় শুরু করি। আপনাকে বর্তমানে ধারাবাহিক নাটকে কম দেখা যাচ্ছে? তিশা : হ্যাঁ। ধারাবাহিক নাটকে আমাকে দেখাই যায় না বললে চলে! আমার ক্যারিয়ারে দুইটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছি। অবশেষে এখন একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। বলা যায়, এখন একটি ধারাবাহিক নাটক শুরু করেছি। এটি এখনও টিভি চার হয়নি। আর এই ধারাবাহিক করার কারণ, এটা সব ধারাবাহিক নাটকের মতো বানানো হচ্ছে না! ধারাবাহিক নাটকটি আলাদাভাবে বানানো হচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই ধারাবাহিকটির গল্প অনেক সুন্দর। এটা দেখলে দর্শক বুঝবে না এটা ধারাবাহিক নাটক। একপর্ব দেখলে আর একপর্ব দেখার জন্য অপেক্ষা করবে দর্শক। এটার ভাল একটি মেকিন হচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : কাজের মান ধরে রাখার জন্য কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? তিশা : আমি বেছে কাজ করার চেষ্টা করি। আমি আসলে সারা বছর কাজ করি না। এখন কয়েক মাস ধরে নিয়মিত কাজ করছি। এখন আমি অভিনয়টাই জীবন হিসাবে নিয়েছি। অভিনয়টা আমার সবকিছু। এভাবে প্রত্যেকটির মান দেখে কাজ করি। আমি তিটি নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়ি। স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে তারপর কাজ করি। পছন্দ না হলে কাজ করি না। সেই দিক থেকে আমি কাজের মান ধরে রাখার চেষ্টা করি। কাজ করলে মান ঠিক রাখা যায় বলে আমি মনে করি। আমি এতটুকু বললে পারি, যে নাটকগুলোর মান আমার ভাললাগে আমি সেগুলোই করি। আর এখন যদি অভিনয় দিক থেকে বলি, তাহলে সবার আগে দেখি কে নির্মাতা, তারপর দেখি স্ক্রিপ্ট। তারপর চরিত্রে দেখে কাজ করি। আনন্দকণ্ঠ : আপনাকে কবে বড় পর্দায় দেখা যাবে? তিশা : বড় পর্দা নিয়ে কিছু দিন আগে নিউজ কাজ হয়েছিল। আমি বড় পর্দায় কাজ করছি। হ্যাঁ, আমার বড় পর্দায় কাজ করার কথা হয়ে ছিল। কিন্তু ব্যাটে-বলে মিলেনি বলে আমি কাজ করিনি। আমার যে ইচ্ছা ছিল বড় পর্দায় কাজ করার। এখন সেই ইচ্ছাটা অনেক কমে গিয়েছে। এখন আমার ইচ্ছা অভিনয়টা কিভাবে দিন দিন ভাল করব। অভিনয়ের জন্য যদি সিনেমা করা লাগে তাহলে আমি করব। আনন্দকণ্ঠ : চলচ্চিত্রে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেবেন? তিশা : অবশ্যই গল্পকে বেশি প্রাধান্য দেব। কারণ একটি সিনেমার জন্য গল্পটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমার গল্প ভাল হলে অবশ্যই সিনেমা দেখব দর্শক। আনন্দকণ্ঠ : ভালবাসা দিবসে আপনার অভিনীত নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মিউজিক ভিডিও কাশ হয়েছে! এগুলো থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন? তিশা : আমি বলব, আমার ক্যারিয়ারে অভিনয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। ভালবাসা দিবসে নাটকে কাজ করার পরর আমি নিয়মিত কাজ করেছি। ভালবাসা দিবসে আমার পাঁচটি কাজ গিয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে অনেক সাড়া পেয়েছি। একটি ছিল নাটক ‘মনজুড়ে’। এই নাটকে আমার বিপরীতে ছিল তৌসিফ। এই নাটকটি অনেক জনয়িতা পেয়েছে। এতে আমার বিপরীতে ছিল নিশো ভাই। তারপর ছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বাঁক’। কাজের পর থেকে ইউটিউবে বেশ সাড়া ফেলেছে। আর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘১৫ দিন’। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সিয়াম। আরও বেশকিছু কাজ গিয়েছে এগুলো থেকে সাড়া পাচ্ছি। ভালবাসা দিবসের কাজ দর্শক সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। যা দেখে আমার অভিনয়ের তি আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। আনন্দকণ্ঠ : ‘এই বৈশাখ’ নাটক থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন? তিশা : খুবই ভাল। দুইদিনে নাটকটি ১ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। এটা আমাদের নাটকের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এই আগে কারও নাটক কত ভিউ হয়েছি কিনা সেটা আমি জানি না। এটা আমার থম চোখে পড়েছে। দুইদিনে ১ মিলিয়ন মানে ১ দিনে ৫ লাখ ভিউ হয়েছে। নাটকটি লাখো মানুষ দেখেছে। ৭ দিনে নাটকটি ২০ লাখের উপরে হয়ে গিয়েছে। এজন্য আমি আরও অনেক খুশি। এভাবেই দর্শকদের ভাল কাজ দিতে চাই। আনন্দকণ্ঠ : মিউজিক ভিডিও নিয়ে কিছু বলুন? তিশা : আমি মিউজিক ভিডিওতে নিয়মিত কাজ করি না। যদি আমার গান ও গল্প ভাললাগে তাহলে মাঝে মধ্যে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করি। আর অনেকেই মিউজিক ভিডিও থেকে আমাকে চেনে। তাহলে মিউজিক ভিডিও ভাল একটি জায়গা। আমি তিনিয়ত মিউজিক ভিডিও জন্য কল পাচ্ছি। কিন্তু আমি নিয়মিত মিউজিক ভিডিও করতে চাই না।
×