ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজউকের জমি আত্মসাত ॥ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ৯ এপ্রিল ২০১৮

রাজউকের জমি আত্মসাত ॥ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ১০ কাঠা পরিমাণ জমি আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কুতুবউদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুদক সুত্র জানায়, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কুতুবউদ্দিন অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাফ কবলা দলিল নং-১২৮২৪ (তারিখ- ১১/০৮/২০০৪) রাজউকের হুকুম দখলকৃত/অধিগ্রহণকৃত ১০ কাঠা জমি শ্বশুর ও অন্যদের নামে ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাত করেন। সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের সময় প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ড থেকে জানা যায়, গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ১২৮২৪ নম্বর সাফ কবলা দলিলে মাধ্যমে গুলশান থানার ভোলা মৌজার সিএস ৯৮ নং খতিয়ানের সিএস এবং এসএ ৪৫৭ নং দাগের ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি থেকে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ (৫ কাঠা) জমি মোঃ আব্দুল জলিল মৃধা এবং ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ (৫ কাঠা) জমি যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডাঃ একেএম আনোয়ার উল্লাহ ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ সামসুন নাহারের নামে ক্রয় দেখানো হয়। একই দলিলমূলে মোট ৩ জন ক্রেতার নামে মোট ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় দেখানো হয়। এই সাফ কবলা দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, দলিলে ১নং ক্রমিকের ক্রেতা হচ্ছেন মোঃ আব্দুল জলিল মৃধা; যিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদের শ্বশুর। এখানে দলিলে ক্রেতা হিসেবে জনাব আব্দুল জলিল মৃধার নাম উল্লেখ থাকলেও এই জমির প্রকৃত ভোগদখলকারী বা সুবিধাভোগী হচ্ছেন মোঃ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ। তিনিই মূলত এসব কর্মকান্ডের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন। নেপথ্যে থেকে তিনি প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাজউকের হুকুম দখলকৃত সম্পত্তি অবমুক্ত করেছেন। পাশাপাশি নাজমুল ইসলাম সাইদকে জমির ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে ও শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধাসহ আরও দুজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিজেই এই জমি আত্মসাত করেন।
×