ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানের আগে পরে দু’ভাগে পাঁচ সিটিতে নির্বাচনের চিন্তা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১২ মার্চ ২০১৮

রমজানের আগে পরে দু’ভাগে পাঁচ সিটিতে নির্বাচনের চিন্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী রমজানের আগে ও পরে দুই ধাপে পাঁচ সিটিতে নির্বাচনের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, প্রথম ধাপে রমজানের আগে দুটি সিটিতে নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করছে তারা। এর দিনক্ষণ হিসেবে তারা এইচএসসি পরীক্ষার পরে এবং রমজান শুরুর আগে প্রথম দফায় নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছে। এরপর রমজানের পরপর আরও তিন সিটিতে নির্বাচন পরিচালনা করবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সঠিক সময়েই পাঁচ সিটিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, রমজানের আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। অপর তিন সিটি রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে রমজানের পরে নির্বাচন করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে নির্বাচনের ৫ বছর পূর্ণ হবে। অপরদিকে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে ৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। স্থনীয় সরকার পরিষদ সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৬ মাসের মধ্যে যে কোনদিন নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এই হিসেবে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখের আগেই গাজীপুর এবং ২৫ সেপ্টম্বরের আগেই খুলনা সিটি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অপরদিকে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইসির হিসাব অনুয়ায়ী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, সিলেটের ৮ অক্টোবর ও বরিশালের ২৪ অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে আইন অনুযায়ী রাজশাহীতে ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবর, খুলনায় ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, বরিশালে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবর, সিলেটে ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর এবং গাজীপুরে ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জানা গেছে, এ বছর জাতীয় নির্বাচন থাকায় নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে সিটি নির্বাচন করতে চায় ইসি। ইসির হিসাব অনুযায়ী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। ৮ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে এ সিটির। সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। ১৩ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। খুলনা সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে বলে জানান ইসির কর্মকর্তারা। তারা উল্লেখ করেন, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে দুই ভাগে পাঁচ সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তভাবনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে ঈদের আগে এবং সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল সিটিতে ঈদের পরে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। ১৭ মে থেকে রমজান শুরু হবে। এর আগে এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত এইচএসসি ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে জুনের আগে ভোট করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ সিটিতে ভোট একসঙ্গে হবে নাকি আলাদাভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে তা কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেয়া হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৫ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের জন্য মতামত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি। এতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট কর্পোরেশনের সীমানা, ওয়ার্ড বিভক্তিকরণ, নির্বাচন, আদালতের আদেশ প্রতিপালন ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সর্বশেষ অবস্থাসহ মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
×