ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের হাতে শ্রীদেবীর দেহ তুলে দিল দুবাই পুলিশ

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পরিবারের হাতে শ্রীদেবীর দেহ তুলে দিল দুবাই পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ নিউজ এইট্টিন সূত্রে খবর, অবশেষে পরিবারের হাতে শ্রীদেবীর দেহ তুলে দিল দুবাই পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই মুম্বই ফিরতে পারে নায়িকার দেহ। শ্রীদেবীর মৃত্যু মামলা বন্ধ করল দুবাই পুলিশ। এই মামলায় বনি কপূরকে ক্লিনচিটও দিয়েছে তারা।দেহ ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বনি কপূর। তাঁকে সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই দুবাই পৌঁছে গিয়েছেন বনি কপূরের প্রথম পক্ষের ছেলে অর্জুন কপূর। মুম্বই পুলিশকে রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে বলে খবর। বনি কপূরের প্রথম পক্ষের ছেলে অর্জুন কপূর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানেই বাবা বনি কপূরকে শ্রীদেবীর দেহ মুম্বইতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করতে গিয়েছেন তিনি। শ্রীদেবী এবং তাঁর দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুসির সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্ক নাকি একেবারেই ভাল ছিল না। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যু সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়েছে বলেই খবর। অনিল কপূরের বাড়িতে জাহ্নবী ও খুশির সঙ্গে গত সোমবারই দেখা করেছিলেন অর্জুন। কোনও রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, শ্রীদেবীর স্বামী বনি কপূর হোটেলের বাথটবে শ্রীদেবীকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখেন। কোনও রিপোর্টে প্রকাশ, এক হোটেল কর্মী দরজায় ধাক্কা দিলেও শ্রীদেবী দরজা না খোলায় পরে দরজা ভাঙতে হয়। আদতে ঠিক কী হয়েছিল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। খলিজ টাইমস-এর খবর অনুযায়ী, শ্রীদেবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয়, মদ্যপ অবস্থায় বাথটবের জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। এর পরেই সোমবার দেহ ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ফিরতে পারে অভিনেত্রীর দেহ। দুবাইয়ের সরকারি আইনজীবীর অনুমতির পরই দেহ মুম্বইয়ে ফেরানো সম্ভব। এই ঘটনায় দুবাই পুলিশ শ্রীদেবীর স্বামী বনি কপূরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছে বলে খবর। শুধু বনি নন, দুবাই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিনেত্রীর পরিবারের অন্য সদস্য এবং যে হোটেলে অভিনেত্রীর দেহ মিলেছে সেখানকার কর্মীদেরও। দুবাই পুলিশের তরফে ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়েছে, আরও একটি ছাড়পত্র পাওয়ার পর তবেই ছাড়া যাবে অভিনেত্রীর দেহ। সে ক্ষেত্রে ঠিক কখন দেহ ভারতে পৌঁছবে সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×