ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় ২ আসামি খালাস

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় ২ আসামি খালাস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ার কারসাজির দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের (বিডি ওয়েলডিং) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল ইসলাম ও ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন উচ্চ-আদালত। তবে এর আগে শেয়ারবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল উভয় আসামিকে ৩ বছর করে কারাদ- ও ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। উচ্চ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূইয়া অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন। যার অনুলিপি চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এসেছে। উচ্চ-আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেনÑ এ্যাডভোকেট এসএম রেজাউল করিম ও ইউসুফ হুসাইন হূমায়ুন। আর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে কাজ করেছেন-শুভ্র চক্রবর্তী ও প্রবীর নিয়োগী। এর আগে ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর এস এম নুরুল ইসলাম ও এনায়েত করিমকে ৩ বছর করে কারাদ- দিয়েছিল। একইসঙ্গে উভয়কে ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে আসামিরা একই বছরে উচ্চ-আদালতে আপীল করেছিল। উল্লেখ্য, বিডি ওয়েলডিংয়ের শেয়ার কারসাজির অভিযোগ তদন্ত করে ২০০৭ সালের ২২ মে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলাম এবং বিডি ওয়েলডিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিডি ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের শেয়ারের বাজার মূল্য ৬.৯০ টাকা থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ৪২.৫০ টাকায় উন্নীত হয়। এ তিন মাসে শেয়ারটির দর শতকরা হিসেবে বেড়েছিল ৬১৫.৯৪ শতাংশ, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মার্চ বিএসইসি শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন ওই সময়ের পরিচালক বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান ও ওই সময়ের সহকারী পরিচালক তানিয়া শারমিন। বর্তমানে তিনি অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন। অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধিতে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলামের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি।
×