ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৬ বছর পর গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ৬ বছর পর গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর চাঞ্চল্যকর আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেন পাঠানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন শেখদী নয়ানগর এলাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন পাঠান ওরফে সাজ্জাদকে (২৬) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই। সাজ্জাদের বরাত দিয়ে পিবিআই সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে কাজ শেষে মোঃ আল-আমিন ওরফে টুকু (২০) বাসায় ফিরে। এর আধঘণ্টা পর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন হুজুরপাড়ার আমির হামজা রোডের রংয়ের কারখানার পশ্চিম পার্শ্বে মোশারফ হোসেনের চক পাউডার কারখানার কর্মচারী সোহেল (২৫) ও রুবেল (২৩) গিয়ে আল আমিনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুর বারোটার দিকে কারখানার মাঠে আল আমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। আল আমিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। খুনের ঘটনায় আল আমিনের পিতা মোঃ ওসমান গনি বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ হোসেন পাঠান আরও কয়েকজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কামরাঙ্গীরচর থানায় ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে। ডিবি পুলিশ প্রায় পাঁচ বছর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাজ্জাদকে গ্রেফতার করতে না পারার কারণে তাকে বাদ দিয়েই চার্জশীট দাখিল করে ডিবি। মামলার বাদী এতে আদালতে না-রাজি আবেদন করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। তার পিতার নাম মোঃ আলাউদ্দিন পাঠান। বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন বরপা পূর্বপাড়ায়। সাজ্জাদ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার চাঁন মিয়া রোডের খান ভিলায় বসবাস করত। সে মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর চক পাউডার কারখানার কর্মচারী ছিল। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে আরও জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সোহেল (২৫), রুবেল (২৩), মোঃ ইসমাঈল (২৩), পায়েল (২৩) ও মোঃ সাজ্জাদসহ (৩০) আরও কয়েকজন মিলে আল আমিনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
×