ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

এনপিআই ভার্সিটির উপাচার্য হলেন ড. আব্দুল কাদির

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 এনপিআই ভার্সিটির  উপাচার্য হলেন  ড. আব্দুল কাদির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাকাশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দেওয়ান আব্দুল কাদিরকে এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (মানিকগঞ্জ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ। ১৫ ফেব্রুয়ারি এ নিয়োগ দেয়া হয়। আব্দুল কাদির পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতোক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ১৯৭৯ সালে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের মহাকাশ ও বায়ুম-লীর গবেষণা কেন্দ্রে উর্ধতন বৈজ্ঞানিক পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পারসোতে ন্যস্ত হন। স্পারসোতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৮৪-৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডর ‘নাসার’ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার (জিএসএফসি) ও লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আবহাওয়া, জলবায়ু, কৃষি আবহাওয়া, দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, হাইড্রোলজি ও সমুদ্র বিজ্ঞানে ভূ-উপগ্রহ ও জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষণা করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, কৃষি ফসলের মানচিত্র প্রণয়ন ও প্রাক্কলন, মৌসুমী আবহাওয়ার তারতম্য বিশ্লেষণ, বন ও পানি সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন, উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশীপের অধীনে যুক্তরাজ্যের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিওরোলজিক্যাল বিভাগে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের উপর গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন এবং ঘূর্ণিঝড়ের গঠন, শক্তি বিন্যাস ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। ড. কাদির সার্ক মিটিওরোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের (এসএমআরসি) বিভাগীয় প্রধান হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি ইউএনএফপিএ, ইউএনইপি, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। এ সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৭০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ ও অসংখ্য বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রফেসর ড. কাদির বিগত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
×