ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি আগের চেয়ে শক্তিশালী হলে নির্বাচনে ভয় কিসের ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিএনপি আগের চেয়ে শক্তিশালী হলে নির্বাচনে ভয় কিসের ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা দাবি করেন খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপি আগের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। যদি তাই হবে তবে বিএনপির নির্বাচনে যেতে সমস্যা কোথায়? তাদের ভয় কীসের? আওয়ামী লীগ এই বিএনপিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চায়। রবিবার ধানমন্ডিতে প্রিয়াংকা কমিউিনিটি সেন্টারে দলের এক যৌথসভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাবলে দন্ডিত, দেউলিয়া, উন্মাদ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও কুখ্যাত কোন লোক দলটির সদস্য হতে পারত না। দলের কাউন্সিলের কোন বৈঠক ছাড়াই বিএনপির গঠনতন্ত্রে ওই ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে আয়োজিত এই যৌথসভায় আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা ছাড়াও দলের সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার দলীয় সংসদ সদস্যরা যোগ দেন। বৈঠকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের দিনে আওয়ামী লীগের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রেসব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করে বলেন, তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করতেই রাতের অন্ধকারে গঠনতন্ত্রে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে বাসায় বসে কেন তারা তাদের গঠনতন্ত্রে ৭ ধারা বাতিল করল- এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি নেতারা এখনও দেননি। ৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে কী আরেক দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার জন্য? এর জবাব এখনও পাইনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে পালনের দাবি করলেও তারা যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আজও (রবিবার) তারা রাজধানীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে বিশৃঙ্খলা করেছে। এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছেন। হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে ভাংচুর ও আসামি ছিনতাই করেছেন। আসলে আন্দোলন না করতে পারার অক্ষমতা ঢাকতেই বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের দাবি করছেন। এ ধরনের দাবির মাধ্যমে তারা তাদের আসল চরিত্র প্রকাশ করতে শুরু করেছে। ৭ মার্চের জনসভায় নির্বাচনী গাইডলাইন দেবেন প্রধানমন্ত্রী ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটিতে আমরা এত বড় জনসভা আর করতে পারব না। তাই এই জনসভাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সভায় ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের নেতারা আসবেন, তারা নেত্রীর বক্তব্য থেকে আগামী এক বছরের একটা গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। সেটা মনে রেখেই সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণই তো স্বাধীনতার আসল ঘোষণা। কাজেই এর স্পিরিট আমরা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেজন্য প্রস্তুতি সভাগুলো নিজ নিজ ইউনিটের ইউনিয়ন পর্যন্ত করার জন্য আগত নেতাদের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ৭ মার্চ রাজধানীতে বড় জনসভা করব আমরা। কারণ প্রজন্মের কাছে এর যে চেতনা সেই চেতনাকে আমরা আরও গভীরে নিয়ে যাব, আরও প্রসারিত করব। বৈঠকে ৭ মার্চের সভা সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে নির্দিষ্ট করে দায়িত্বভার দেন ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি আশপাশের জেলার নেতারাও জনসভা সফল করার লক্ষে কিছু পরামর্শ ও প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। দেশের অর্ধেক ভোটার দেশের নারী সমাজ। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে জনসভায় নারীদের উপস্থিতি বাড়ানোর কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডাঃ দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শমিম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, মারুফা আক্তার পপি ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করছে যুবলীগ দক্ষিণ ॥ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকা ভিত্তিক ১০০ কমিটি গঠনের পর এবার কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। একই সঙ্গে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা রোধে যা যা করণীয় তা করতে প্রস্তুত থাকতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। বরিবার দুপুরে কাকরাইলে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ১০০ টিমের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
×