ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে ১৭ বছর পর ১০ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

হবিগঞ্জে ১৭ বছর পর ১০ জনের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ প্রায় সাড়ে সতেরো বছর পর দেয়া এক আলোচিত রায়ে জেলার পল্লী বাঘজুরের হতদরিদ্র কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে নীরব শাহ হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুর একটায় এক জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ বিচারক হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন। মৃত্যুদ-ে দ-িতরা হলেন, জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলাধীন ওই গ্রামের বাসিন্দা রমিজ আলী, তারিক উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মিয়া, ইউসুফ উল্লাহ, আব্দুল মতলিব, নসিম উল্লাহ, আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম ও আব্দুল হান্নান। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন, আইয়ুব আলী, জামাল উদ্দিন, নুর ইসলাম, আব্দুর রউফ, আব্দুল বারিক, আব্দুল নুর, রফিক উল্লাহ, খোরশেদ আলী, আব্দুল হামিদ, হামিদ-২, আব্দুল হক, আব্দুল মান্নান ও সিরাজ আলীসহ অন্তত ১৪ জন। অন্যদিকে মামলার আসামি সরাফত উল্লাহ ও আব্দুস সোবহানের মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০০১ সালে ওই গ্রামের রমিজ আলীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৩টি হাঁস চুরি করে। আর এই ঘটনা জানতে পেরে গ্রামের লোকজনকে সব কিছু বলে দেয় কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে নীরব। ফলে নীরবের ওপর ক্ষিপ্ত হন হাঁস চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। এই বছর ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মসজিদে যাচ্ছিলেন কৃষক নীরব। তখন নীরবকে পিটিয়ে হত্যা করে রমিজ আলীসহ তার অপর সহযোগীরা। এদিন রাতেই নিহত নীরবের ছেলে হারুন মিয়া বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মামলার আইও অরুন চন্দ্র উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে চলা এই মামলায় স্বাক্ষী ও জেরার পর উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক জনকণ্ঠকে জানান, বাদী পক্ষসহ তিনিও এই রায়ে সন্তুষ্ট। তিনি জানান, এই মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আসামিপক্ষ স্থগিত করে রাখায় রায় পেতে এত সময় লেগেছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাবিবুুর রহমান এই মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।
×