ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২৯ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে ২৯ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রায় ২৯ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে আবগারি শুল্ক বাবদ ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ২৫৯ টাকা এবং ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) রয়েছে। ইতোমধ্যেই বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) আবগারি শুল্ক সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি এবং মূসক ফাঁকির বিষয়ে দাবিনামা জারি ও কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) মূল্য সংযোজন কর শাখা থেকে পাওনা আদায়ে প্রাইম ব্যাংককে মঙ্গলবার এ চিঠি দেয়। এছাড়া ব্যাংকটির পরিশোধযোগ্য আবগারি শুল্ক বাবদ ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ২৫৯ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়নি। যা প্রতিমাসে প্রযোজ্য অবগারি শুল্ক অর্থ মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অবগারি প্রজ্ঞাপন নং ১২৯ আইন/২০১৫/৩১৪ আবগারি, তারিখ ৪/৬/২০১৫-এর টেবিলে বর্ণিত হার অনুযায়ী আদায়ের বিধান রয়েছে। চিঠিতে এই অপরিশোধিত আবগারি শুল্ক অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যদিকে গত অর্থ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার মূসক ফাঁকি দিয়েছে ব্যাংকটি। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট সদর দফতরের টিম ২৯ জানুয়ারি ব্যাংকটির এই কর ফাঁকির বিষয়ে এক প্রতিবেদন দাখিল করে। এ অবস্থায় অপরিশোধিত অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে কেন পরিশোধ করা হবে না তা জানতে চিঠি দেয়া হয়েছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার মোঃ মতিউর রহমান জানিয়েছেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রাইম ব্যাংকের কাছে যে টাকা পাওনা আছি তার জন্য চিঠি দিয়েছি। একই দিনে আলাদা চিঠিতে প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে বলেছি। কমিশনার আরও বলেন, ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা মৌখিকভাবে আমাকে বলেছে দ্রুতই এই টাকা পরিশোধ করবে।
×