ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিজেএমসিতে অবৈধ নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টাদের নেয়া অর্থের হিসাব চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

বিজেএমসিতে অবৈধ নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টাদের নেয়া অর্থের হিসাব চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পাটকল কর্পোরেশনে (বিজেএমসি) নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাবদ উত্তোলন করা অর্থের হিসাব চেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিজেএমসির এ তিন উপদেষ্টার পেছনে ব্যয় করা সরকারী সুবিধার প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে জানানোর জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ ও ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আপত্তির প্রেক্ষাপটেই কঠোর এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুমেরী জামানের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, পিআরএল ভোগরত কর্মকর্তাগণ বিজেএমসির পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পদে কর্মরত থেকে এ পর্যন্ত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি খাতে কত টাকা উত্তোলন করেছেন তার প্রকৃত আর্থিক মূল্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। যে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সকল আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনে (বিজেএমসি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিন উপদেষ্টা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পিআরএলে থাকা অবস্থায় তিন কর্মকর্তার পাটকল কর্পোরেশনের উপদেষ্টা নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসির যোগসাজশে সকল আইন লঙ্ঘন করে কিভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে উপদেষ্টা। ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে পিআরএলে থাকা অবস্থায় একেএম নাজমুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), সিরাজুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব), বাবুল চন্দ্র রায় (যুগ্ম সচিব) দুটি সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে একই সঙ্গে বেতন গ্রহণসহ নানাবিধ অনিয়মের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন- এ শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও পাট) অতিরিক্ত সচিব একেএম নাজমুজ্জামান গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর, পরিচালক (বিপণন) যুগ্ম সচিব সিরাজুল ইসলাম গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ও পরিচালক (গবেষণা) যুগ্ম সচিব বাবুল চন্দ্র রায় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি অবসর পরবর্তী ছুটিতে যান। প্রশাসন ক্যাডারের এ তিন কর্মকর্তা প্রায় দুই বছর বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
×