ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

কুড়িগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, চিকিৎসক নেই দেড় যুগ। আন্তঃবিভাগ বন্ধ। বহির্বিভাগে মাত্র দু’জন। একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট। তাই বন্ধ নাগেশ্বরী উপজেলার ১০ শয্যাবিশিষ্ট রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এলাকা জুড়ে মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডাস্থল। ক্ষোভে চিকিৎসাবঞ্চিত এলাকাবাসী। ১৯৬২ সালে ১০ শয্যার রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ধরলা উত্তরের নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী তিন উপজেলাবাসীর চিকিৎসার জন্য ছিল ভরসা ১০ শয্যার রায়গঞ্জ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরবর্তীতে সরকার প্রতি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলে। এরপর থেকে রোগীর ভিড় কমে গেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার ১৫ ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ বহির্বিভাগ দুটোই চালু রাখা হয়। দুই জন মেডিক্যাল অফিসার, চার জন সিনিয়র স্টাফ নার্স, চার জন সহাকারী নার্স, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন প্যাথলজিস্ট, দুই জন ওয়ার্ডবয়, চার জন এমএলএসএস, একজন কুক, একজন মশালচি ও দুই জন সুইপার সেখানে কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে ১৯৯৮ সালে অন্তর্বিভাগ বন্ধ করে দিলেও মঞ্জুরিকৃত পদ বিলুপ্ত হয়নি আজও। তবে পদ থাকলেও দেড় যুগ ধরে এখানে চিকিৎসক নেই। সিনিয়র নার্স দুই জনের একজন কুড়িগ্রামে অন্যজন ভুরুঙ্গামারীতে, ওয়ার্ডবয় দুই জনের একজন কুড়িগ্রামে, অন্যজন নাগেশ্বরীতে, এমএলএসএস চার জনের দুই জন নাগেশ্বরীতে, একজন ফুলবাড়ীতে, একজন মশালচি কুড়িগ্রামে ও সুইপার দুই জনের একজন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে বহির্বিভাগ। নিরাপত্তা প্রহরী নেই। সারাদিনই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে বলেও জানান এলাকাবাসী। নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা নির্মলেন্দু রায় মানিক বলেন, কমপ্লেক্সটি এখনও প্রয়োজন।
×