ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেরি চলাচলে বিঘ্ন, যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

ফেরি চলাচলে বিঘ্ন, যাত্রীদের দুর্ভোগ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঘন কুয়াশায় নৌপথে ফেরি চলাচল ও যাত্রী পারাপার চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এ জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ১০ ঘণ্টা পর সচল হয় ফেরি সার্ভিস। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে আট ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শুক্রবার রাত দুটা ৩০মিনিট থেকে শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত সাড়ে ৮ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর চালু হয়। এসময় ৫ ফেরি মাঝনদীতে, ৭ ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে এবং পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কোচ ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দুই পারে আটকে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আসা নৈশকোচগুলো শনিবার দুপুরেও পারাপার হতে পারেনি। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আটকেপড়া পরিবহন যাত্রী-শ্রমিক-মালিকরা কনকনে শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া দুই পারেই ঘাট এলাকা থেকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন মহাসড়কের ওপর বিস্তৃত হয়ে পড়ে। শনিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পারে সহ¯্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায়। মুন্সীগঞ্জ ॥ ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৮ ঘণ্টা পর ফেরি সার্ভিস সচল হয়েছে। কনকনে শীতে সহস্্রাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝপদ্মায় আটকা ছিল ৭টি ফেরি। শিমুলিয়া প্রান্তে আটকে পড়ে ৪ শতাধিক যান। রাতভর মাঝপদ্মায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহায় যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, শনিবার রাত আড়াইটা থেকে পদ্মা অববাহিকায় ঘন কুয়াশা নেমে আসে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে নৌরুট। দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে নদীর গতিপথ। কুয়াশার ঘনত্ব এতই ছিল যে, খুব কাছের কোন জিনিস দেখা যাচ্ছিল না। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় মাঝনদীতে যাত্রী ও মালসহ নোঙরে থাকে ছোটবড় ৭টি ফেরি। দীর্ঘ সময় নদীর মাঝে ও ফেরিঘাটে আটকা পড়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকেই ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হন। শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কুয়াশার প্রভাব কমে এলে ৮ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলোও নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। এজিএম আরও জানান, তিন দিন ধরে অব্যাহত ঘন কুয়াশার কারণে ঘাটে যানজট লেগেই আছে। তবে কর্তৃপক্ষ সব ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করে যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিমান ওঠানামা ব্যাহত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট সিডিউলে বিপর্যয় নেমে আসে। শনিবার ভোর থেকে এ দুটো বিমানবন্দরে ৫ ঘণ্টাব্যাপী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ ছিল। বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশন সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১টার আগ পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কুয়াশা কাটার পর দুপুরের দিকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশন শাখার কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বিঘিœত হয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়মিত ফ্লাইট সিডিউল। ভোর ৪টা থেকে কোন ফ্লাইট অবতরণ করেনি। এর মধ্যে কয়েকটি ফ্লাইট সিলেট ও ভারতের কলকাতায় জরুরী অবতরণ করে। ঘন কুয়াশার কারণে বেশিরভাগ বহির্গামী ফ্লাইট রিসিডিউল করা হয়েছে।
×