ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইজি মিজানের বিষয়ে তদন্ত চলছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:২২, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

ডিআইজি মিজানের বিষয়ে তদন্ত চলছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক নারীকে নিয়ে আলোচনায় থাকা ডিআইজি মিজানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। স্ত্রী থাকার পরেও জোর করে আরেক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে আলোচনায় থাকা ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার বিকেলে তেজগাঁও হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমনটাই জানান। জানা গেছে, মাস চারেক আগে সংসার করার পর ফেসবুকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমানের একটি ছবি তোলে। এরপর থেকেই ডিআইজি তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুইটি মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই নারী জামিনে আছেন। তবে ডিআইজি এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ওই নারী প্রতারক। সমালোচনার মধ্যে থাকা ডিআইজিকে সোমবার পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি। ঢামেকে তিন বছরের শিশু পাওয়া গেছে ॥ সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অভিভাবকহীন অবস্থায় আনুমানিক তিন বছর বয়সী এক শিশু পায় পুলিশ। হাসপাতালসহ আশপাশে মাইকিং করেও মেয়েটির কোন স্বজন পাওয়া যায়নি। কোন অভিভাবক না পাওয়া গেলে আইন মোতাবেক শিশুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। জুতার কারখানায় আগুন ॥ সোমবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের সিক্কাটুলীর একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা একটি জুতা তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছিল। আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আধঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বাড়ি যাচ্ছে মুনতাসির ॥ কনজেনিটাল রোগে আক্রান্ত মুনতাসির (৭) পরিবারের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছে। শমরিতা হাসপাতালে নির্ধারিত বিল পরিশোধ করার পর তার মুক্তি মিলেছে। মুনতাসিরকে চিকিৎসা করছেন হাসপাতালটির চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম ইউ কবীর চৌধুরী। তিনি জানান, মুনতাসির আপাতত দুইমাসের জন্য বাড়ি যাচ্ছে। ওষুধ লিখে দেয়া হয়েছে। অপহৃত রিক্সাচালক সহির হত্যা- অপহরণকারীদের স্বীকারোক্তি ॥ গত ২৮ ডিসেম্বর অপহৃত রিক্সাচালক সহিরের লাশ দুদিন পর ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সহিরের ছোট ভাই আবদুর রশিদ রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। ডিবি তিন জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে সামিউল হক ওরফে সামি (১৯), নিজদান হাসান শুভ (১৯) ও আমিনুল ইসলাম বাবুকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি সিএমএম আদালতে সামি ও শুভ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। বাবুকে সোমবার দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ জানান, সহির খুন হন ডলারের জন্য। সহির বলতেন, তার এবং জামালপুরে থাকা তার এক বোনের কাছে ডলার আছে। এমন কথার কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। সিদ্ধেশ্বরীর একটি বাসায় আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না পেয়ে মারধরের পর বাসার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে সহিরকে হত্যা করে অপহরণকারীরা। অপহরণ ও খুনে সবমিলিয়ে ১১ জন জড়িত। যার মধ্যে নয়জন সরাসরি হত্যায় জড়িত। নিহত সহির আলী ওরফে শহীদের (৪০) বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার চর বাহাদুরাবাদ গ্রামে।
×