ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি পেল বেক্সিমকো

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি পেল বেক্সিমকো

অর্থনৈতিক রিটেপার্টার ॥ বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পেট্রোলিয়ামস লিমিটেড সারাদেশে ৫০০ অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করার অনুমোদন পেয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কোম্পানিটিকে এই অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে বেক্সিমকো পেট্রোলিয়ামসকে এলপি গ্যাস অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অবশ্য এসব শর্ত এলপি গ্যাসের অপারেটর হিসেবে সব কোম্পানির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অটোগ্যাস স্টেশনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৫টি অটোগ্যাস ওয়ার্কশপ/কারখানা স্থাপনের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে বেক্সিমকো পেট্রোলিয়ামসকে। তবে এলপি গ্যাস অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম চালাতে হলে কোম্পানিটিকে ন্যূনতম ৫ হাজার মেট্রিক টন এলপি গ্যাস ধারণ ক্ষমতার ট্যাঙ্ক নির্মাণ করতে হবে। বাল্ক এলপি গ্যাস পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক রোড ট্যাঙ্কার ও নদী পথে প্রয়োজনীয় যান থাকতে হবে। উল্লেখ্য, অটোগ্যাস হচ্ছে লিকুফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলজিপির একটি বিশেষ ধরন। এলপিজি সাধারণত দুটি কাজে ব্যবহার করা হয়; গৃহস্থালী বা রান্নাবান্নার কাজে, অন্যটি হচ্ছে যানবাহন চালনা। গৃহস্থালী-এলপিজি ও অটো-এলপিজি (অটোগ্যাস) এর মধ্যে উপাদানগত কিছু পার্থক্য আছে। দুটিরই প্রধান উপাদান প্রোপেন ও বুটান। গৃহস্থালী-এলপিজিতে সালফার বা ওই জাতীয় অন্য কোনো উপাদান মেশানো হয় গ্যাসে কটু গন্ধ সৃষ্টি করার জন্য, যাতে পাইপলাইনে কোনো ছিদ্র বা অন্য কোনো উপায়ে গ্যাস বের হলে টের পাওয়া যায়। রান্নাঘরে আগুন লাগার ঝুঁকি কমাতে এটি করা হয়। অটোগ্যাসকে বিশ্বব্যাপী সবুজ জ্বালানি হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই জ্বালানিতে পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কম কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে অকটেনের তুলনায় অটো-গ্যাস মূল্যের দিক থেকে সাশ্রয়ী। অটোগ্যাস ব্যবহারে জ্বালানি ব্যয় ১০ শতাংশের মতো কম হয়। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, অটো-গ্যাস ব্যবহারে বিশ্বে শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে- তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, ইতালি ও অস্ট্রেলিয়া। প্রতিবেশী ভারতে ২০০০ সালে অটোগ্যাস ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি দেশটির ১৯২টি শহরে প্রায় সাড়ে ৩শ’ অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন করেছে। তবে দেশটিতে অটোগ্যাস জনপ্রিয় হতে পারেনি। এর কারণ ভারতে বেশিরভাগ গাড়ি ডিজেলে চলে। অটোগ্যাসের খরচ ডিজেলের চেয়ে বেশ বেশি।
×