ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সবজি উৎপাদনে সাফল্য, অভাব জয় করে সচ্ছল প্রান্তিক নারী

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

সবজি উৎপাদনে সাফল্য, অভাব জয় করে সচ্ছল প্রান্তিক নারী

ওয়াজেদ হীরা ॥ গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন গৃহিণী হাজেরা বেগম (৪৫)। সংসার সামাল দিয়ে গরু-ছাগল লালন-পালনের পাশাপাশি বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অল্প জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ করেন। এ বছর করেন ফুলকপি আর মুলার আবাদ। বাড়ির নিয়মিত সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে গত কয়েকদিন স্থানীয় বাজারে কম বেশি বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন তিনি। পাশের বাড়ির প্রতিবেশী আব্দুল গফুর বাণিজ্যিকভাবে ফুলকপি চাষ করে এখনও বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ উঠিয়ে এখন প্রতিদিনের বিক্রি তার লাভের অংশ। একটা হাসি দিয়ে বলেন, ‘উৎপাদনও ভাল, বিক্রিও ভাল। আগামীতে আরও বেশি করে করব।’ গ্রামীণ অর্থনীতিতে এবং পরিবারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন নারীরা। ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন শাক-সবজির চাষে পাল্টে গেছে গ্রামীণ নারীদের জীবন। প্রান্তিক নারীদের উৎপাদিত সবজি ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় বাজারে ও বিভিন্ন বন্দরে বড় শহরে। শুধু বড় শহরই নয় ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বেও। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সেখানেও এই প্রান্তিক নারীরা ভূমিকা রাখছেন। কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় কৃষি জমি কমে আসলেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন অনন্য উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদন পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। নারী-পুরুষের হাত ধরে সবজি উৎপাদনেও উজ্জ্বল সাফল্য বাংলাদেশের। লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা কিংবা আলুর মতো বিভিন্ন সবজি উৎপাদনে সাফল্যের হাজারো কৃষক-কৃষাণীর গল্প ছড়িয়ে আছে গোটা বাংলার প্রতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যারা বাড়ির পাশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে বা অল্পপরিসরে বিভিন্ন সবজির আবাদ করেন তারা এখন বেশ সচ্ছল ও স্বাবলম্বী। যাদের অনেকেই অভাবকে জয় করে স্বপ্ন বুনছেন সুন্দর আগামীর। শীত-গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব উপযোগী সবজি চাষ করেন প্রান্তিক নারীরা। পরিবারের চাহিদা মেটাতে সবসময় তারা এ উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। অল্প পরিসরে সবজি উৎপাদন সবসময় নারীই ভূমিকা রাখেন বেশি। এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলেও সেখানে গৃহকর্তার পাশাপাশি ভূমিকা থাকে কৃষাণীর। আর কৃষক-কৃষাণীর এই প্রচেষ্টায় সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় আর প্রায় ৫০টির মতো দেশে এই সবজি রফতানি করা হয়। এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সবজি চাষের আওতায় জমির পরিমাণ না বাড়লেও প্রতিবছর ফলন বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও ৭ টন সবজি হয়েছে এমন জমিতে এখন ১৫ টন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত উৎপাদনশীলতা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি খাতের উৎপাদন বেড়ে চলেছে। এছাড়াও বর্তমানে শিক্ষিত লোকজন কৃষি খাতে আসছেন। আবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আগে দুইবার চাষ করা গেছে, এমন ফসল এখন বছরে চারবার চাষ করা যায় একই জমিতে। শুধু শিক্ষিত যুবকরাই নয় গ্রামীণ নারীরাও পাচ্ছে কৃষি তথ্য সহায়তা। তাই কিভাবে আরও ভাল উৎপাদন হবে কোনটা উৎপাদন করা হবে সে বিষয়ে প্রতিটি নারী সচেতন। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে তারাও বেশ আগ্রহী। নারীরা তাদের দেয়া পরামর্শ গ্রহণ করে সংসারে এনেছেন আর্থিক সচ্ছলতা। কোন কোন এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই সবজির আবাদ করছেন। সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে ভাগ্য খুলেছে ফরিদপুর জেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বরেন বিশ্বাসের ডাঙ্গীর প্রায় অর্ধশত কৃষাণীর। সবজি চাষ গত কয়েক বছরে অনেক কৃষাণীর ভাগ্যেরও পরিবর্তন ঘটেছে। তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীর মানুষের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হতে সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। চলতি শীত মৌসুমের এখানের কৃষাণীরা জমিতে আবাদ করেছিলেন লাল শাক, পালং শাক, ধনেপাতা। কিছু কৃষাণী যৌথ কৃষি খামারে লাল শাক, বেগুন, মুলা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং লাউ চাষ করেছেন। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে সবজি ক্ষেত রক্ষা করতে ব্যবহার করছেন জৈব বালাইন নাশক। ইতোমধ্যেই বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন তারাও। কৃষি সম্প্রসারণের হর্টিকালচার উইংয়ের উপ-পরিচালক (কন্দাল, সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল) মোঃ আখতারুজ্জাম জনকণ্ঠকে বলেন, প্রান্তিক নারীদের কাছ থেকে আরও ভাল উৎপাদন আশা করলে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তারা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা সে বিষয়ে সতর্ক থেকে গ্রুপভিত্তিক কাজ করছি। ময়মনসিংহের শিল্প এলাকা খ্যাত ভালুকা। সেখানেও ব্যাপক হারে চাষ হয় সবজির। শীতের সবজি চাষ করা ওয়াহাব হোসেন কবির বলেন, ‘জমি পতিত রাইখা কি হবে। তাই আবাদ করি। শীতের সবজি বিক্রি শেষের দিকে বাড়তি আয় হইছে। পরে অন্য ফসল দিমু।’ ভালুকা পাশের উপজেলা সখিপুর। যদিও এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত। এখানে লাল মাটির জন্য বিখ্যাত থাকায় অনেক সময় ফসল উৎপাদনে একটু বিঘ্ন ঘটে। সব ফসল এখানে হয় না। তবুও শখ করে বসতঘরের দুই কোণায় একাধিক লাউয়ের চাড়া লাগিয়ে ছিলেন গৃহিণী রহিমা খাতুন। তার রোপণকৃত সেই চারা গাছে আজ লাউয়ের সমাহার। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন, দশ টাকার লাউয়ের বিচি কিনে প্রায় এক হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আর নিজেদের খাওয়া জন্যতো আছেই। আগামীতে তিনি স্বপ্ন বুনছেন বড় পরিসরে লাউ ক্ষেত করার। এদিকে, বরিশালের কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, লাভ বেশি হওয়ায় বর্ষার চেয়ে শীতের সবজি চাষে বেশি ঝুঁকছেন বরিশালের চাষিরা। শীতের সময় তাই তারা প্রচুর ব্যস্ত। এক্ষেত্রে যে কোন পরামর্শ ও তথ্য দিতে সবসময় কর্মকর্তারা প্রস্তুত। কৃষকের বাড়ি গিয়ে বা মুঠোফোনেও পরামর্শ দেয়া হয় বলেও জানা গেছে। বরিশালের চাষিদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে পাইকারদের হাত ঘুরে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা শহরে। নারীরাও ব্যাপকভাবে সবজি চাষে ভূমিকা রাখছে বলেও জানা যায়। খোঁজ নিযে জানা গেছে, লাউ, বরবটি, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, পালং শাক, বেগুন, করল্লা চাষ করেছেন স্থানীয়রা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ বলেন, কৃষকরা শীতের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এ বছর শুরু থেকেই সবজির আবাদ ভাল। আর আবাহাওয়াও বেশ অনুকূলে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল আজিজ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা কর্মকর্তারা প্রান্তিক পর্যায়ে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছি। বিভিন্ন মেলার মাধ্যমেও তথ্য আদান প্রদান হয়। উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে গ্রামের নারীদের ভূমিকা অসাধারণ। তারা নিজেরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশংসাও করেন মহাপরিচালক। বিভিন্ন অঞ্চলের একাধিক চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাউ, কুমড়ো পেঁপে এসব ফসলের গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে পচন ধরে গাছ মরে যায়। কিন্তু শীতকালে সে সমস্যা না থাকায় একটু যত্ন নিলেই ফলন ভাল হয়। আবার একাধিক চাষি জানিয়েছেন, ধান উৎপাদনে খরচ বেশি আবার রোগবালাইও বেশি। সে হিসেবে সবজিতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ার বিষয়টি থাকে আর রোগ কম হওয়াতে এটি উৎপাদনে আগ্রহ তাদের। এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য মতে, গত চল্লিশ বছরে বাংলাদেশে সবজি চাষের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। গত এক দশকে সবজি চাষের পরিমাণ বেড়েছে ৫ শতাংশ হারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ৫ দশমিক ২৮ লাখ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছিল। সবজি চাষে প্রথম স্থানে চীন এরপর ভারত পরে বাংলাদেশ। প্রাপ্ত তথ্যে সর্বশেষ রফতানি আয়ের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামীণ নারীদের পাশাপাশি তরুণ কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার না করে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে। ব্যাপক হারে ফলন হচ্ছে। কৃষক দামও পাচ্ছে। রংপুর অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্থকরী কৃষি ফসল হিসেবে সবজি চাষের দিকে কৃষক ঝুঁকছে। বিশেষ করে উত্তরের নদী ধরলা, তিস্তা, সানিয়াজান, করতোয়ায় এখন বছরের অধিকাংশ সময় পানি থাকে না। জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল চর। এই সব চরে সেচের সুবিধা সৃষ্টি করে নানা জাতের সবজিসহ ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান নদীর চরে কৃষক আলু, টমেটো, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ধনিয়া, পেঁয়াজ, মরিচ ভুট্টাসহ নানা ফসল ফলাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটানি বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল আজিজ জনকণ্ঠকে বলেন, জেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ করতে হবে নারীদের। একই সঙ্গে তাদের উৎপাদিত পণ্য যেন মধ্যম না হয়ে সরাসরি বিক্রি করলে ভাল দাম পাবে এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) তথ্য সূত্রে জানা গেছে, দেশে রীতিমতো সবজি বিপ্লব ঘটে গেছে গত এক যুগে। এখন দেশে ৬০ ধরনের ও ২০০টি জাতের সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষক পরিবার রয়েছে, এ কৃষক পরিবারগুলোর প্রায় সবাই কমবেশি সবজি চাষ করেন। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে জানা গেছে, ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে দেশে মাথাপিছু দৈনিক সবজি খাওয়া বা ভোগের পরিমাণ ছিল ৪২ গ্রাম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) হিসাবে, গেল বছর দেশে মাথাপিছু সবজি ভোগের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশে শুধু নিজেদের দেশের সবজি নয় বিদেশী সবজিও চাষ হচ্ছে। খুচরা বাজারে গেলে চোখে পড়ে হরেক রকমের বিদেশী সবজি। বিদেশী এসব শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে লেটুসপাতা, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, চাইনিজ ক্যাবেজ প্রভৃতি। এদিকে, তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সবজি মেলা শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে। চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্র সভাপতিত্বে জাতীয় সবজি মেলার প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মেলায় সব ধরনের সবজিই প্রদর্শন করা হবে। এবার মোট স্টল সংখ্যার ১০ শতাংশ বীজ এবং চারা গাছ প্রদর্শনীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। গত বছর ৫-৭ জানুয়ারি রাজধানীর খামারবাড়ি আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম এবং এর চত্বরে জাতীয় সবজি মেলা হয়। প্রস্তুতি সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা জানান, সবজি কিছুটা বিলম্বে বাজারে আসছে। সেই অনুযায়ী মেলার সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। মেলার জন্য একটি জাতীয় কমিটি ও সাতটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলা বাস্তবায়ন করবে। এবারও সবজি মেলার স্টলগুলো এবং এর আশপাশের এলাকা সুষম খাদ্য, সবজির পুষ্টিমান, উপকারিতা সার্বিক গুণগত মান উৎপাদনের পরিমাণ, রফতানির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য সংবলিত ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে সুসজ্জিত করা হবে। সভা সূত্রে জানা গেছে, এবার সবজি মেলার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। গত বছর ব্যয় হয়েছিল ৫৯ লাখ টাকা। গত বছর সবজি মেলায় প্রদর্শন করা হয় প্রায় ১২৪ জাতের শাক-সবজি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল আজিজ জনকণ্ঠকে বলেন, তৃতীয়বারের মতো এই মেলা হতে যাচ্ছে। এখানে যারা সবজি চাষ করতে চায় তাদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়। এখানে বীজ, সার ও ফসল বিষয়ে আলাদা আলাদা ধারণা তৈরি হয়। সংশ্লিষ্টদের মত, এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিতে হবে।
×