ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালী শিক্ষার্থীর মরদেহ তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

নেপালী শিক্ষার্থীর মরদেহ তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বেসরকারী পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী নেপালী নাগরিক বিনিশা শাহ’র (২১) মরদেহ তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পুলিশ অনেকটা গোপনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও নেপাল দূতাবাস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভাই নরেন্দ শাহ বিনিশার কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করে। ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, নেপালী ওই ছাত্রীর (বিনিশা শাহ) মরদেহ নিতে ভাই নরেন্দ্র শাহ গত শুক্রবার ঢাকা আসেন। আইনী প্রক্রিয়া ও বিমানের ফ্লাইট নিশ্চিত করার পর রবিবার বিনিশার মরদেহ তার ভাই নরেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওসি জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে উড়ে গেছে বিনিশার মরদেহবাহী বিমান। এ বিষয়ে পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের পরিচালক (ফাইন্যান্স) জামিউল হোসেন জামির জানান, বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিনিশার মরদেহ নেপালে পাঠানো হয়েছে। নেপাল দূতাবাসের সহযোগিতায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সার্বিক অর্থায়নে ভাই নরেন্দ্র শাহ মরদেহ নিয়ে নেপালে ফিরেছেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হল থেকে বেরিয়ে হোস্টেলে গিয়ে আত্মহত্যা করেন কলেজটির ২৩তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নেপালী নাগরিক বিনিশা শাহ (২১)। পরে তার স্বদেশী রুমমেট রোখসা কক্ষে ফিরে দেখেন রুম ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক চেষ্টার পর বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখেন বিনিশা রশিতে ঝুলছেন। খবর পেয়ে ওই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে ভাটারা থানাধীন পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজের হোস্টেল রুম থেকে বিনিশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই বিনিশার মৃত্যুর ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, বিনিশা আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। সে সময় গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার তার ট্রার্ম-২ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে ধরে ফেলে। কিন্তু পরীক্ষা দিতে বারণ করেনি। বিনিশা নিজেই হল থেকে বেরিয়ে যান। হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ক্রাইম সিন ইউনিট তার ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
×