ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উ. কোরিয়া ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প-পুতিন

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

উ. কোরিয়া ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প-পুতিন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক সঙ্কট নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রশংসা করায় এ সময়ে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুতিন। এদিকে উত্তর কোরিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক জোসেফ ইউন বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্কও স্থাপন করা উচিত। খবর এএফপি ও ইয়াহু নিউজের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বুধবার পূর্বশর্ত ছাড়াই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং তার আচরণে পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত কোন আলোচনার প্রশ্নই আসে না। উত্তর কোরিয়া নীতিবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জোসেফ বলেন, নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আমাদের সরাসরি আলোচনাও চালাতে হবে। এটাই আমাদের নীতি হওয়া উচিত। একদিকে চাপ দেয়া, অন্যদিকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, দুটোই আমরা একসঙ্গে করতে পারি। ব্যাংককে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর দেশটির ওপর চাপ বাড়াতে চলতি সপ্তাহে জাপান ও থাইল্যান্ডে সফর করেন জোসেফ ইউন। পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে কীভাবে চাপ প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে দেশ দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেন। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্প-পুতিন কয়েকটি সঙ্কটাপন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল উত্তর কোরিয়া। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপের অতি বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে কথা বলেছেন। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেই চলতি বছরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। চালিয়েছে ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষা। কোরিয়া অঞ্চলে মার্কিন আগ্রাসন ও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় আত্মরক্ষার্থে এই ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচি চালানো হয়েছে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের। এ নিয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে কথার লড়াইও হয়েছে। বৃহস্পতিবার জোসেফ ইউন থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান জেনারেল ওয়ালোপ রোশানোহ ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওইয়ারাসক ফুটরাকুলের সঙ্গে দেখা করেন। জোসেফ বলেন, আমাদের মধ্যে খুবই গঠনমূলক ও খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। থাইল্যান্ডের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিশেষ অনুরোধ ছিল না। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বৃহস্পতিবার বলেন, উত্তর কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কোন বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই। উত্তর কোরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের প্রস্তাব আমরা পুরোপুরি মেনে চলছি।
×