ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

৯৯৯॥ তিন দিনে ৬৫ হাজার কল

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

৯৯৯॥  তিন দিনে ৬৫ হাজার কল

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এর মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে। তিন দিনেও সাধারণ মানুষ থেকে প্রায় ৬৫ হাজার কল পেয়েছে জরুরী সেবা কেন্দ্র। অধিকাংশ এ সামাধান পেয়েছেন। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় জাতীয় জরুরী কার্যক্রম গতিশীল করা হচ্ছে। তাই নাগরিকদের সহজে এই দেয়ার লক্ষে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন সরকার। এদিকে ডেমরায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-কেন্দ্র ও পুলিশ ব্যারাক করার সিদ্ধান্ত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশ দফতর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ‘৯৯৯’-এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পুলিশী সেবা দিতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতীয় জরুরী সেবার কল সেন্টারের এক সুপারভাইজার জানান, গত দিনে তারা প্রায় ৬৫ হাজার কল পেয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪ হাজার ২০০টি কল পেয়েছেন তারা। বুধবার ২৬ হাজার ৫০০টি কল পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে প্রথম দিন (১২ ডিসেম্বর) আসে ২২ হাজার ৫০২টি কল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’-এর কার্যক্রম চলছে। সেখানে একটি ফ্লোরে তিন ভাগে তিন শিফটে করে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে ৩২টি কলার টেকার রয়েছে। প্রতি শিফটে ৩০ জন কলটেকার, দুইজন সুপারভাইজার, চারজন ডিসপোসার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শীঘ্রই আরও একটি ফ্লোরে এই কার্যক্রম চালু করা হবে। বর্তমানে এটা একশ’তে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। মানুষের ব্যাপক সাড়া পড়ায় পুলিশ আরও আন্তরিক হয়ে সেবা দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সদর দফতর সূত্র জানায়, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কার্যক্রম গতিশীল করার হচ্ছে। এজন্য রাজধানীর ডেমরায় কেন্দ্রীয় সেবাকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য বহুতলা ভবন ও পুলিশ ব্যারক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রায় তিন একর জমিও নির্বাচন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এর নক্সা প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ডেমরায় ওই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সেখানে একটি বিশতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা দু’টি ব্যারাক। সেখানে কল সেন্টারে কর্মরত কর্মীরা থাকবেন। এছাড়া কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণেরও কথা রয়েছে। জরুরী সেবা আরও পরিকল্পিত ও সুসংগঠিতভাবে করার জন্য এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
×