ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের স্বীকৃতিতে ক্ষুব্ধ জেরুজালেমের খ্রীস্টানরাও

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ট্রাম্পের স্বীকৃতিতে ক্ষুব্ধ জেরুজালেমের খ্রীস্টানরাও

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যিশুর জন্মস্থান ফিলিস্তিনের বেথেলহেম চার্চ এলাকায় জ্বলতে থাকা ক্রিসমাস ট্রিগুলোর আলো নিভিয়ে ফেলে খ্রীস্টধর্ম অনুসারীরা। মুসলমানদের পাশাপাশি ইহুদী ও খ্রীস্টানদেরও পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমকে কেবল ইসরাইলের গ-ির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলার ট্রা¤েপর সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে প্রতিবাদ জানাতে এই পথ বেছে নেন তারা। জেরুজালেমকে ইহুদী রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ট্রা¤েপর স্বীকৃতি ও তার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ করছে মুসলমানরা। তবে জেরুজালেমে বসবাসকারী সংখ্যালঘু খ্রীস্টানরাও যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে নাখোশ তা প্রতিবাদের মাধ্যমেই তুলে ধরেছেন তারা। জেরুজালেমে বসবাসকারী খ্রীস্টধর্ম অনুসারীরা বলছেন, এই শহরে তিন ধর্মেরই চমৎকার সহাবস্থান ছিল, রাজনীতিকরাই এতে বিভক্তি ছড়িয়েছেন। রবিবারের প্রার্থনা শেষে জেরুজালেমের এসিরিয়ান চার্চ থেকে বেরিয়ে এসে ফ্রেডরিক হাজো (৫৯) বলেন, ট্রা¤েপর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, খ্রীস্টান-মুসলমান আমরা উভয়েই একতাবদ্ধ ও এক। পুরনো শহরের কেন্দ্রে ধর্মীয় সামগ্রী বিক্রি হয় এমন দোকানগুলোর মাঝে সরু একটি গলিতে দাঁড়িয়ে এ সুরকার বলেন, ট্রা¤প তার স্বীকৃতির মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে সমস্যার গাড্ডায় ফেলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সিদ্ধান্ত বদলেরও আহ্বান জানান তিনি। রাজনীতি নিয়ে হতাশ হলেও হাজো আত্মবিশ্বাসী, তিন ধর্মের চমৎকার ভারসাম্য জেরুজালেমকে ঠিকই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে। পবিত্র এই স্থানে ঈশ্বর আমাদের সবাইকে রক্ষা করছেন। জেরুজালেমে আমরা তার (ঈশ্বর) দেবদূতদের দ্বারা সুরক্ষিত। খ্রীস্টধর্মের অনুসারীরা গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম, তবুও আঞ্চলিক ও জাতীয় রাজনীতিতে তাদের অবদান কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। -ওয়েবসাইট
×