ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হলো ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হলো ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শনিবার পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বড় শহরগুলোতে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মহানবীর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সারা বিশে^র মুসলমানদের কল্যাণের পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এদিনে বিশেষ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করেন। বিশ্ব সাম্য ও মানবতার বার্তাবাহী বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। এটি তাঁর ওফাত দিবসও। দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে। মুসলমানসহ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শনিবার সরকারী ছুটি পালিত হয়। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বিভাজক ও ট্রাফিক মোড়ে জাতীয় পতাকা ও কালিমা তায়্যিবা লেখা ব্যানার টানানো হয়। কিছু কিছু ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় শাহজাহানপুর রেলওয়ে মাঠ থেকে প্রতি বছরের মতো শোভাযাত্রা করে আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন। জশনে জুলুসটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ শরিক হন। এতে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। শোভাযাত্রা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজন ওয়াজ-মাহফিল ও আলোচনা সভার। জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বাদ আসর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমানসহ ক্লাবের সদস্যরা মিলাদে অংশ নেন। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীতে (সাঃ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় এ দিনে। মিলাদ মাহফিলে শিক্ষার্থীদের মাঝে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে হয়। এছাড়াও রাজধানীতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) এর জশনে জুলুস এর আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া। সকাল দশটার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থেকে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে এ শোভাযাত্রা বের করা হয়। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম শাহ সুফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী এ জুলুসের নেতৃত্ব দেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে জশনে জুলুস বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন মোড় ও কাকরাইল হয়ে আবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়বা, জাতীয় পতাকা, আঞ্জুমানের পতাকা এবং বিভিন্ন ধরনের বাণী ও স্লোগান লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।
×