ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

নাভানা সিএনজির নতুন প্রকল্পের উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

নাভানা সিএনজির নতুন প্রকল্পের উৎপাদন শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা সিএনজি লিমিটেডের (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) এলপিজি প্রকল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি নাভানা সিএনজির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যার ৯৯.৯০ শতাংশের মালিকানা রয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে নাভানা সিএনজি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এলপিজি ব্যবসা সহজতর করতে সম্পদ হস্তান্তর করেছে। প্রতিষ্ঠানটি নাভানা এলপিজিকে ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে মোট সম্পদ হিসাবে ৩০০ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৩১ টাকা দিয়েছে। আর মোট দায় হিসাবে দিয়েছে ২৩১ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৩২২ টাকা। সেই হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির নিট সম্পদ রয়েছে ৬৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০৯ টাকা। নাভানার এলপিজি প্রকল্প শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মংলাতে। দেশের এই বড় এলপিজি প্রকল্পটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার ইমপোর্ট টারমিনাল এবং বোটলিং প্লাট রয়েছে। এককভাবে সবচেয়ে বড় ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টোরেজ, স্বয়ংক্রিয় সিলেন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট এবং অধিক নিরাপত্তার জন্য ঘূর্ণায়মান ট্যাঙ্ক। বাংলাদেশে ৮০ দশকে এলপিজির পরিচয় হলেও গ্রাহকদের আকর্ষণ বাড়ানো যায়নি। কারণ সে সময়ে সুলভ মূল্যে পিএনজির (পাইপলাইন্ড ন্যাচারাল গ্যাস) পর্যাপ্ততা থাকায় গ্রাহক এলপিজিতে এগিয়ে আসেনি। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সরকার এপিজি সিলেন্ডার আমদানিতে কাস্টম টিউটি কমানো এবং এলপিজি মেশিনারি আমদানিতে শুল্ক কমানোর কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন এপিজি ব্যবসায় এগিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত বসুন্ধারা এলপি গ্যাস, টোটাল গ্যাস, ক্লিন হার্ড গ্যাস, যমুনা সপিসটেক জয়েন্ট ভেঞ্চার, বিন হাবিব বাংলাদেশ, সুপার গ্যাস, ওমেরা এলপিজি বাজারে বিদ্যমান রয়েছে। নাভানা সিএনজি কোম্পানি লিমিটেড ২০০৯ সালে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। নাভানা সিএনজি লিমিটেডের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। আর এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৯২ শেয়ারের মধ্যে স্পন্সর শেয়ার ৪২.৪৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২২.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫.২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৩০ জুন ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৬ টাকা ৬২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৭৮ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৪ টাকা ১১ পয়সা।
×