ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দুরকানীতে জরাজীর্ণ ভবন ॥ পলিথিন টানিয়ে ক্লাস

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

ইন্দুরকানীতে জরাজীর্ণ  ভবন ॥ পলিথিন টানিয়ে ক্লাস

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১৮ নবেম্বর ॥ ৫ বছর ধরে ভবন জরাজীর্ণ থাকায় পরিত্যক্ত ভবনে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। ষাটের দশকে স্থাপিত ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পত্তাশী জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে চলে আসছে। প্রতি বছর এসএসসি ও জেএসসিতে ভাল ফলাফল করে আসছে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। পাঁচ বছর ধরে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও কোন সংস্কারের কাজ করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয় ভবনে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ায় ক্লাস করতে বিঘœ হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস করছে। সরেজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয় ভবনটি একেবারে জরাজীর্ণ ও বিধ্বস্ত। প্লাস্টার খসে পড়ছে, ছাদ থেকে পানি পড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা ও ক্লাশগুলো পানি কাঁদায় একাকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বসার অফিস কক্ষটি একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ। তারা তাবু টানিয়ে অফিসের কাজ করছে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য থাকায় ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। অভিভাবকদের দাবি অতি দ্রুত নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ অথবা সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করা হোক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অধির চন্দ্র সমদ্দার জানান, ভবন বিধ্বস্ত থাকায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ঝুঁকির মধ্যে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করলেও ভবন নির্মাণের জন্য কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর একেএম আবুল খায়ের জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রয়োজন। পীরগাছায় খোলা আকাশের নিচে নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, পীরগাছায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। পাঠদানের বিকল্প কোন জায়গা না থাকায় খোলা স্থানে পাঠদান করা হচ্ছে। আকাশে মেঘ দেখলেই ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাদে অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়। বিদ্যালয় থেকে একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন দিলেও কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আলহাজ আঃ হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজ হয়। এ কারণে গত তিন বছর পূর্বে একাধিকবার ভূকম্পনের ফলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে। বর্তমানে ভবনের বাইরে ও ভিতরে ব্যাপক ফাটলের কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গত তিন বছর ধরে ৪ জন শিক্ষক শতাধিক শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ভবনের ঘরের ভিতরে মাঝে মাঝে পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। তিনকক্ষ বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হত। বর্তমানে একটি কক্ষ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসানুল মোহসেলিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে একাধিকবার জানানো হলেও বিদ্যালয় সংস্কারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিক-উজ-জামানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
×