ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রাটকা রাডস্ট পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

ক্রাটকা রাডস্ট পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ চেক রিপাবলিকে অনুষ্ঠিত জিলাভা ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টরি ফিল্ম ফেস্টিভালে বাংলাদেশী নির্মাতা আশিক মোস্তফার ‘ইন্টেরিয়র্স এ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ‘ক্রাটকা রাডস্ট (শর্ট জয়)’ পুরস্কার জিতেছে। খনা টকিজের ব্যানারে নির্মিত ‘ইন্টেরিয়র্স এ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন। ‘শর্ট জয়’ পুরস্কারের অর্থমূল্য অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন এবং প্রচার বাবদ তিন হাজার ইউরো। এছাড়াও অস্কার মনোনীত ‘শর্ট জয়’ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফিল্ম একাডেমি এ্যাওয়ার্ডের শর্ট ডকুমেন্টরি বিভাগের জন্য প্রি-সিলেক্টেড হয়। সেই হিসেবে অস্কারের ৯১তম আসরের জন্য চলচ্চিত্রটি প্রতিযোগিতা করবে। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সৃজনশীল ডকুমেন্টারির সর্ববৃহৎ এই উৎসবে প্রথাবিরোধী ও নিরীক্ষাধর্মী ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। উৎসবে চলচ্চিত্রটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার উপলক্ষে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে নির্মাতা আশিক মোস্তফা বলেন, এক সঙ্গে এত অসাধারণ সব চলচ্চিত্র দেখতে পারা আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও প্রসারিত করেছে। এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে আমি এখন আর বেশি অনুপ্রাণিত। মোবাইল ফোনে ধারণকৃত জিরো-বাজেটে নির্মিত ‘ইন্টেরিয়র্স এ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ ঢাকা শহরের প্রতিদিনকার দেখা একটি আপাত সাধারণ দৃশ্যের সূক্ষ্ম ও ব্যঞ্জনাময় উপস্থাপন। একটি মাত্র শটে নেয়া ৮ মিনিটের এ চলচ্চিত্রটি যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্মচর্চা ও শ্রেণীবৈষম্যের ভিতর-বাইরের একটি চিত্র। খনা টকিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক মোস্তফা নিউইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তখন গ্রাজ্যুয়েশন ফিল্ম হিসেবে তিনি ফুলকুমার (২০০২) তৈরি করেন যা বাংলাদেশে শুট করা হয়েছিল। চলচ্চিত্র অঙ্গনে এখনো ফুলকুমারকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয় কারণ এটি তখন এর নির্মাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত একঝাঁক তরুণকে অণুপ্রাণিত করেছিল। যাদের অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতা। তিনি ‘৭২০ ডিগ্রী’, ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’-এর মতো কিছু আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন এবং বর্তমানে শূন্য-বাজেটে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ‘ইনভেডিং প্রাইভেসি’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্রের সম্পাদনার কাজ করছেন।
×