ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে গোমেজ হত্যা মামলায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

নাটোরে গোমেজ হত্যা মামলায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৫ নবেম্বর ॥ বনপাড়ার খ্রীস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ হত্যা মামলায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হয়। অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে সুনীল গোমেজ হত্যা মামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৭ জন ঢাকার রাজধানীর হলি আর্টিজানসহ আশুলিয়া, কল্যাণপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গী আক্রমণ প্রতিহত করার সময় র‌্যাব, পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। সুনীল গোমেজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনকে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর হোসেন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামের মৃত ওসমান গনি ম-লের ছেলে। এই মামলায় পলাতক রয়েছে ৪ জন আসামি। তারা হচ্ছে-বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মারিয়া গ্রামের নাছের উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (রিপন), রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার সাথারিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মাহমুদুল হাসান সুমন (কবির), সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার মামুদপুর গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে মতিউর রহমান (হৃদয়)। পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জেএমবি সদস্যরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, বিদেশী ও কিছু ভিন্নমতাদর্শী নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরই ধারাবাহিকতায় জেএমবি সদস্য মোঃ তামিম চৌধুরী ওরফে তালহা ওরফে আবু দুজানা আল বাঙ্গাল, সরোয়ার জাহান ওরফে আসিফ আজোয়াফ বিন আব্দুল্লাহ ওরফে মানিক, মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে মেজর জাহিদ, শরিফুল ইসলাম খালিদ, নূরুল ইসলাম ওরফে মারজানদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় গ্রেফতারকৃত আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সুবাস ওরফে রাজিব গান্ধি ওরফে আদিল ওরফে শান্ত ওরফে টাইগারের ওপর উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও রংপুরে কিলিং মিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়। রাজিব গান্ধি তার কিলিং মিশনের সদস্যসহ নাটোরে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে সুনীল গোমেজ খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাকে হত্যার টার্গেট করা হয়। কিলিং মিশন সফল করতে রাজিব গান্ধি অন্যান্য জেএমবি সদস্যদের নিয়ে ২০১৬ সালের ৪ জুন নাটোর রাজবাড়িতে একটি বৈঠক করে। উক্ত বৈঠকে রাজিব গান্ধি তার সহযোগীদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়। জেএমবি সদস্য মতিউর রহমান হৃদয় ও মাহফুজুর রহমানকে (ছোট বিজয়) ভিকটিম সুনীল গোমেজকে সরাসরি হিট করার দায়িত্ব দেন। মাহমুদুল হাসান কবিরকে মোটরসাইকেল চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়। আবু মুসা ওরফে তালহা ওরফে রবিনকে হত্যাকা- শেষে কবিরের নিকট থেকে মোটরসাইকেল বুঝে নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় এবং নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসানকে সার্বিক বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুন সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তারা পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হত্যাকা- ঘটায়।
×