ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বিলুপ্ত ছিটমহলে ভূমির স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১০ নভেম্বর ২০১৭

বিলুপ্ত ছিটমহলে ভূমির স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়াবাসীর নিকট ভূমি মালিকানার স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দাশিয়ারছড়া কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারে মালিকানার এ স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ রংপুর জোন সেটেলমেন্ট অফিসার (উপ-সচিব) মোহাঃ আব্দুর রফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, ভাঙ্গামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু, সাবেক ছিটমহল আন্দোলনের নেতা গোলাম মোস্তফা, মঈনুল হক, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। জেলার মোট ১২টি ছিটমহলের মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে দাকিনীরকুটি জেএলনং-৫০-এ ১৪ দশমিক ২৭ একর খাস খতিয়ান-১-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সাবেক ছিটমহলের সবচেয়ে বড় ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার আয়তন এক হাজার ৬৪৩ দশমিক ৪৪ একর। এর মধ্যে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১২৭ দশমিক ৭৯ একর জমি। ১২টি হাল ছিটে খতিয়ান সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭৬টি, যার দাগনং ৭ হাজার ৩৫৮টি এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ছিটমহলের আয়তন ২২২ দশমিক ৯৪ একর। হাল ছিট ১০টিতে মোট খতিয়ান সংখ্যা ৪৯৩টি, যার দাগনং ৯৯৫টি। দীর্ঘ ৬৮ বছর পর ২০১৫ সালের ১ আগস্ট মুজিব-ইন্দ্রিরা স্থল ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পর ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাবেক ছিটবাসীদের ভূমি মালিকানার স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান করা হয়। রংপুর জোন সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আব্দুর রফিক জানান, সরকারের বিশেষ নির্দেশে প্রায় দুই বছরের মধ্যে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। আগামী এক মাস পর্যন্ত মালিকানা স্বত্বলিপি ও নক্সা প্রদান অব্যহত থাকবে। এরপর স্বত্বলিপি ও নক্সার প্রকাশনা শেষ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিকট গেজেট করার প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে গেজেটের মাধ্যমে খতিয়ান ও নক্সার রেকর্ডসমূহ সকল বিভাগে প্রেরণ করা হবে। জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জমির কাগজপত্র না থাকার কারণে জমিসংক্রান্ত যেসব জটিলতা ছিল, সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।
×