ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী-শ্বশুরের নির্যাতনে স্কুলশিক্ষিকা গৃহবধূ জখম

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

স্বামী-শ্বশুরের নির্যাতনে স্কুলশিক্ষিকা গৃহবধূ জখম

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৮ অক্টোবর ॥ পীরগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক আনোয়ার ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা নুরুন নাহার তানজিলা (২৮)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী লাউথুতি গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে নির্যাতিত গৃহবধূ তানজিলাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পীরগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সদর উপজেলার শুখানপুকুরী লাউথুতি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গৃহবধূ তানজিলা অভিযোগে জানান, তিনি বিয়ের পর থেকে পীরগঞ্জ সরকারী কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার শ্বশুরবাড়িতে থাকত। হঠাৎ গত ২০ দিন ধরে আনোয়ার তার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার সকালে আনোয়ার নিজ বাড়ি শুখানপুকুরী এলাকায় যাওয়ার জন্য তানজিলাকে মুঠোফোনে কল দেয়। বিকেলে তানজিলা খালাত দুই বোনসহ স্বামী আনোয়ারের বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় বাড়ির ভেতরে ঢুকতে গেলে শ্বশুর হেলাল উদ্দিন, স্বামী আনোয়ারসহ পরিবারের সদস্যরা তানজিলাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তানজিলার মাথা ফেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তানজিলাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারপিট করে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তানজিলাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নির্যাতিত গৃহবধূ স্কুলশিক্ষিকা তানজিলা আরও জানান, দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর আনোয়ারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ এক বাড়িতেই থাকতেন। স্বামী মাঝেমধ্যে যৌতুকের জন্য চাপ দিত। সে তার বাবার কাছে শহরে বাসা করে দেয়ার দাবি জানায়। কিন্তু তার বাবার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে শুখানপুকুরী ইউপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে কলেজশিক্ষক আনোয়ার ও স্কুলশিক্ষিকা তানজিলার বিষয়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার তানজিলা শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
×