ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় যুবদল নেতার মুক্তি দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

গাইবান্ধায় যুবদল নেতার মুক্তি দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৮ অক্টোবর ॥ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার মাহামুদুন নবী রিটুকে অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়ে ন্যক্কারজনক ভিডিও ধারণ ও পরিকল্পিত মামলায় গ্রেফতার করানোর প্রতিবাদে শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবদল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন বাবু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে বলা হয়, যুবদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জেলা যুবদল দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে। এ অবস্থায় জেলা যুবদলে বিভক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুর ইন্ধনে সদর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত খন্দকার জামিরুল ইসলাম এনএইচ মডার্ন হাই স্কুলে সদর থানা যুবদলের ব্যানারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পাল্টা কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়। এ পাল্টা কর্মসূচী বন্ধ করতে খন্দকার মাহামুদুন নবী রিটু বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় আলোচনার জন্য এনএইচ মডার্ন হাই স্কুল মাঠে উপস্থিত হলে সেখানে আনিসুজ্জামান খান বাবু, খন্দকার জামিরুল ইসলাম এবং তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লোহার রড দিয়ে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলের নামে মিথ্যা বানোয়াট মন্তব্য করার জন্য বাধ্য করায়। আনিসুজ্জামান খান বাবু ও জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মাহামুদুন নবী রিটুর এ জবানবন্দী ভিডিও করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে। এমনকি তারা তার পকেটে মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদ হতে অব্যাহতি প্রদান ও তাকে বহিষ্কারের জন্য দলীয় চেয়ারপার্সন ও মহাসচিবের প্রতি আবেদন জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, সাবেক এমপি সাইফুল আলম সাজা, আব্দুল মান্নান সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেলিম প্রমুখ।
×