ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বৈত নাগরিকত্বের জেরে পদ হারাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

দ্বৈত নাগরিকত্বের জেরে পদ হারাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী

দ্বৈত নাগরিক হওয়ার দায়ে অস্ট্রেলীয় উপ-প্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস শুক্রবার পার্লামেন্ট সদস্য পদে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। এতে ক্ষমতাসীন দল এক আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে দেশটির সরকার রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। আগেকার অস্পষ্ট সাংবিধানিক ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বার্নাবি ছাড়াও আরও ছয় অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদ এ সঙ্কটে জড়িয়ে পড়েছেন। সংবিধান অনুসারে দ্বৈত নাগরিকরা দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হতে পারবেন না। খবর এএফপি ও মেইল অনলাইনের। সে অনুসারে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে যে পার্লামেন্টে জয়েস অযোগ্য। এর অর্থ হচ্ছে, নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউ ইংল্যান্ডে তার নিম্নকক্ষের আসনে আগামী দোসরা ডিসেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরপরই প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, আদালতের রায় স্পষ্টত আমাদের প্রত্যাশার বাইরে। কিন্তু সরকারের কার্যক্রম আগের মতোই চলতে থাকবে। গ্রামভিত্তিক ন্যাশনাল পার্টির নেতা জয়সের জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু গত আগস্টে জানা গেছে, তিনি পিতৃসূত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। নিউ ইংল্যান্ড শহরে তার আসন ট্যামওয়ার্থে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতির জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অন্য একটি দেশের নাগরিক, তা মাথায় আসার কোন যুক্তি কারণ আমার কাছে ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু এখন আমাকে স্থির হতে হবে যাতে হতাশ হয়ে না পড়ি। আদালতের রায়ের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমরা এক অসাধারণ গণতন্ত্রের মধ্যে আছি, যেখানে সবার জন্য ভারসাম্য আছে, আছে স্বাধীনতা। বিচারের জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ পঞ্চাশ বছর বয়সের এই রাজনীতিবীদ এখন উপ-নির্বাচনে লড়ার যোগ্যতা অর্জনে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ত্যাগ করেছেন।
×