ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণের নতুন নির্দেশনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারী বাণিজ্যিক ও বিদেশী ব্যাংকসমূহের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ইতোপূর্বে জারিকৃত এতদসংক্রান্ত সকল নির্দেশনা পরিমার্জন ও পরিবর্ধনপূর্বক একীভূত করে নিম্ন রূপভাবে একটি নীতিমালা জারি করা হলো। মাঠ পর্যায়ে কৃষি ও পল্লীঋণের চাহিদা, এ খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাংকের সামর্থ্য ও দক্ষতা, ব্যাংকের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ এবং পূর্ববর্তী অর্থবছরে এ খাতে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকসমূহ প্রত্যেক অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের একটি যুক্তিসঙ্গত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূর্ববর্তী অর্থবছরের ৩১ মার্চ তারিখের অবস্থাভিত্তিক নীট ঋণ ও অগ্রিমের আড়াই শতাংশের চেয়ে কম হবে না। তবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকভিত্তিক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থবছর শেষে কোন ব্যাংক ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে; অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত জমাকৃত অর্থের ওপর কোনরূপ সুদ দেয়া হবে না। এ পর্যায়ে, কোন ব্যাংক যদি পরবর্তী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে পূর্ববর্তী অর্থবছর বা বছরসমূহের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ সম্পূর্ণ বা আংশিক বিতরণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে জমাকৃত বা কর্তনকৃত অর্থ সম্পূর্ণ বা আনুপাতিক হারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে ফেরত দেয়া হবে। অর্থবছর শেষে কোন ব্যাংক কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে বিকল্প প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থের ওপর তিন শতাংশ হারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রাখতে পারবে। তবে কোন ব্যাংক যদি পরবর্তী দুই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে বিগত অর্থবছর বা অর্থবছরসমূহের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অর্থ সম্পূর্ণ বা আংশিক বিতরণ করতে পারে সেক্ষেত্রে জমা করা অর্থ সম্পূর্ণ বা আনুপাতিক হারে ফেরত দেয়া হবে।
×