মাদারীপুরে দুই শ্রমিক নেতার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৮ অক্টোবর ॥ মাদারীপুর বিদ্যুত বিভাগ সিবিএ’র দুই শ্রমিক নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। বুধবার বেলা ১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় বিদ্যুস শ্রমিকলীগ নেতা, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিরউদ্দিন আকন। তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যুত বিভাগের এলডিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর জয়নাল আবেদিনের দাপটে অতিষ্ঠ মাদারীপুর বিদ্যুত অফিস। তিনি কাজ না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করছেন। সরকারী বিধান অমান্য করে ঠিকাদারি করে বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ছাড়া সোমবার সরকারী দলের একাংশের এই নেতা জয়নাল আবেদীন মাদারীপুর ওজোপাডিকো অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ হাওলাদারকে হুমকি ও গালাগাল দিয়ে লাঞ্ছিত করে। জয়নাল আবেদিন গত ১৪ মে বিদ্যুত বিভাগের লাইন সাহায্যকারী এতোয়ার সেরনিয়াবাতকে ফিডার ইনচার্জ, সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় এতোয়ার সেরনিয়াবাত লিখিত অভিযোগ দিলে নির্বাহী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীনকে গত ১৫ মে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোসহ কৈফিয়ত তলব করলেও অদ্যাবধি সেই কৈফিয়তের জবাব দেয়নি জয়নাল আবেদিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাদ মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সিবিএ সভাপতি সলেমান শেখ, কার্যকরী সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, আবুল কালাম, আবদুল কুদ্দুছ প্রমুখ। একই দিন বেলা ১০টায় ওজোপাডিকো মাদারীপুর কার্যালয়ে কারিগরি কর্মচারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিবিএর সাবেক নেতা জয়নাল আবেদিন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, সিবিএ নেতা এস এ এ মোঃ নাসিরউদ্দিন আকন, লাইনম্যান আবুল কালাম আজাদ ও মিটার রিডার গিয়াসউদ্দিন মোল্যা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো লি: মাদারীপুর দফতরের আওতাধীন অবৈধ মিটার স্থাপন, রিডিংসহ গ্রাহকের পুরনো মিটার গায়েব, বকেয়া পরিশোধ না করলেও নতুন মিটার সংযোগ, ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোম্পানির হাজার টাকা আত্মসাত, পিচরেট মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারীদের (মাস্টার রোল) কর্মচারীদের নিকট থেকে কমিশন আদায়সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা সংশ্লিষ্ট সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে নামসহ ২২ জন গ্রাহকের (নাম ঠিকানাসহ) মিটারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধানকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত তদন্তটি আলোর মুখ দেখেনি।