ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে আজ

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে আজ

মিথুন আশরাফ ॥ কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভাল স্টেডিয়ামে খুব বাজে রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। এবার বাংলাদেশ সেই রেকর্ডকে তো পেছনে ফেলতে চাচ্ছেই, জয়ের স্বপ্নও আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কিম্বার্লিতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হবে। জয়ের স্বপ্ন কী সফল হবে? ঘটনা ২০০২ সালের। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই তখনকার দলের ভাবনাই ছিল, হার যেন সম্মানজনকভাবে হয়। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট মানেই হচ্ছে পেস আর বাউন্সি। পেস আক্রমণে যখন স্টিভ এলওয়ার্থি, মাখায় এনটিনি, শন পোলক, এ্যালান ডোনাল্ডের মতো পেসাররা থাকেন, তখন কি আর রক্ষা আছে! রক্ষা হয়ওনি। জাভেদ ওমর, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল বাশার, সানোয়ার হোসেন, তুষার ইমরান, অলক কাপালী, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজনরা তাই অসহায় আত্মসমর্পণই করেন। ১৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। যা এখন পর্যন্ত ডায়মন্ড ওভালে ১৬০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার ঘটনাই হয়ে আছে। টেস্ট খেলুড়ে কোন দলের এ স্টেডিয়ামে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনাও এটিই। তবে ২০০২ সাল এবং এখনকার দলের মধ্যে বহু পার্থক্য। এখনকার দলে আছেন তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, মাশরাফি, মুস্তাফিজদের মতো ম্যাচ উইনার। তারা এখন আর সম্মানজনক হার কিংবা নেতিয়ে পড়ার জন্য খেলেন না। তারা এখন খেলেন জেতার জন্যই। সেই জেতার আশা নিয়েই আজ নামছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। বাজেভাবে হেরেছে। এরপর একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও খুব বাজে হার হয়েছে। বাজে খেলেছে বাংলাদেশ। না ব্যাটিংয়ে, না বোলিংয়ে কিছু করতে পেরেছে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছিল ব্লুমফন্টেইনে। যেখানে উইকেটের সঙ্গে কিম্বার্লির উইকেটের পার্থক্য অনেক। এ উইকেটে প্রচুর রান হয়। ৯টি ম্যাচেই ২৫০ রানের ওপরে হয়েছে। তিন ’শ রান হয়েছে দুটি ম্যাচে। তবে ২০১৩ সালের পর আবার এ স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। এখন উইকেট বদলেছে। যদিও ধরা হচ্ছে খেলাটি ওয়ানডে, তাই রান যেন হয়; এমন উইকেটই করা হবে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে ব্যাটসম্যানে ভরপুর থাকবে। যদি আগে ফিল্ডিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা তাহলে বোলাররাও শক্তিশালী আছে। রাবাদা, পেহলুকওয়ায়ো, পারনেল, তাহিররাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তবে বাংলাদেশ শিবিরেও আছেন ‘ম্যাচ উইনার’ ক্রিকেটার। যদি তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, সাকিবরা নিজেদের ব্যাট হাতে মেলে ধরতে পারেন তাহলে ম্যাচের মোড় বাংলাদেশের দিকেই ঘুরে যেতে পারে। আর বল হাতেও গতি আর বাউন্স ছড়ালে মাশরাফি, মুস্তাফিজের সঙ্গে সাইফউদ্দিন, তাসকিনরা আছেন। আর স্পিন আক্রমণে সাকিব একাই তো ‘একশ’। কিম্বার্লিতে বাংলাদেশ এরআগে দুটি ম্যাচ খেলেছে। দুটিতেই হেরেছে। একবার সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০২ সালে। আরেকবার ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে। ২টিতে হেরেছে। তবে জয়গুলো সব ২০০৮ সাল বা তার আগে পেয়েছে প্রোটিয়ারা। সর্বশেষ ২০১২ ও ২০১৩ সালে খেলা দুটি ম্যাচে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দুটি ম্যাচেই ৩০০ রানের কাছে রান হয়েছে। তার মানে শুরুতে ব্যাটিং করলে বাংলাদেশকে ৩০০ রান বা তার আশপাশে রান করতে হবে। আর আগে ফিল্ডিং করলে প্রোটিয়াদের ২৮০ রানের ওপরে উঠতে দেয়া যাবে না। আজ প্রথম ওয়ানডেতেই যদি বাজিমাত করা যায় তাহলে সিরিজজুড়েই বাজিমাত করার সুযোগ থাকবে।
×