ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাণীনগরের শিম্বা স্কুল মাঠ পানিতে নিমজ্জিত

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

রাণীনগরের শিম্বা স্কুল মাঠ পানিতে নিমজ্জিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শিম্বা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দীর্ঘদিন থেকে পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও এ্যাসেম্বলি থেকে বঞ্চিত রয়েছে বছরের পর বছর। এমনকি স্কুল মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতেও পারে না তারা। জানা গেছে, উপজেলার খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নের শিম্বা গ্রামে অবস্থিত শিম্বা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শতবর্ষী এ বিদ্যালয়টি ১৮৮৫ সাল থেকে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। বিদ্যালয়ে দুই শিফটে প্রতিদিন ১শ’ ৫৫ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। কিন্তু ঐতিহ্যপূর্ণ এ বিদ্যালয়টিতে এখনও আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। কয়েক বছর পূর্বে একটি নতুন একতলা ভবন নির্মাণ করা হলেও বিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠটি বছরের ৯ মাসই পানির নিচে তলিয়ে থাকে, যার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় সারাবছরই খেলাধুলা ও জাতীয় সমাবেশ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এতে শিক্ষার মনোরম পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই রাস্তার পাশ দিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে পানি বের হওয়ার জন্য একটি ছোট খাল বয়ে গেছে। আর মাঠটি পার্শ্ববর্তী জমির মাঠ থেকে অনেক নিচু বলে সব সময় তা পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বহুবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর ফলে একবার মাঠে কিছু মাটি দেয়া হয়। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল বলে জানান বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। তাই সব সময় পানি জমে থাকে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল অতিদ্রুত এ নিমজ্জিত মাঠকে মাটি দিয়ে ভরাট করে শিক্ষার্থী এবং এলাকার ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা করার জন্য আধুনিক মানসম্মত মাঠে পরিণত করতে সরকার এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন জানান, শতবর্ষী এ বিদ্যালয়টি খুবই অবহেলিত। বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ঘরে বন্দী হয়ে একঘেঁয়েমি পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করতে হয়। তারা খোলা মাঠে না পারে খেলতে আর আমরাও শিক্ষার্থীদের নিয়ে না করতে পারছি জাতীয় সমাবেশ। আনন্দবিহীন শিক্ষা কখনও শিশুর মেধাকে সঠিকভাবে বিকশিত করতে পারে না। এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার করার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই এ মাঠের সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
×