ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৫ অক্টোবর ২০১৭

গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭’। ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় ও মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তার লক্ষ্য নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ। উৎসবে বাংলদেশ ও ভারতের মোট ২৯টি নাট্যদল মঞ্চ নাটকে অংশ নেবে। এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত মঞ্চে ৬৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও পথনাটক পরিবেশন হবে। দশ দিনব্যাপী এ উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ, সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে তানজিম আহমেদ রিজভী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে উৎসব পর্ষদ আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এ উৎসবের শুরু নাটকের মাধ্যমে হলেও এখন এটি সকল ধারার সংস্কৃতি বলয়ে পরিণত। এবার উৎসবে শিশুদের ২টি দল অংশ নিচ্ছে। ভবিষ্যতে চারুকলা ও চলচ্চিত্রকে যুক্ত করার ভাবনা আছে। সকল ধারার সংস্কৃতি কর্মীদের মেলবন্ধন, সংস্কৃতি জাগরণ এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের এই উৎসব। তিনি বলেন, যদিও উৎসবটি সম্পূর্ণ স্বাধীন তথাপি যার অনুপ্রেরণায় আমরা প্রথমে এর আয়োজন করেছিলাম, কলকাতার অনীক নাট্যদলের প্রধান নাট্যজন সেই অমলেশ চক্রবর্তী আমাদের মাঝে আর নেই। সম্প্রতি তিনি প্রয়াত হয়েছেন। আমরা এবারের উৎসবটি তাকেই উৎসর্গ করেছি। এ উৎসব দুই বাংলার শিল্পী কলাকুশলীদের পারস্পরিক আত্মার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। আমরা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেব দু’বাংলার নাট্যগীত, নৃত্য, অভিনয়শৈলী। আমরা মনেকরি এ উৎসব নতুন নাট্যদর্শক সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখবে এবং যার প্রভাব নাট্যোৎসব পরবর্তী সময়েও সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাজমান থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে নাটক। এবং উন্মুক্ত মঞ্চের আয়োজন শুরু হবে প্রতিদিন বিকেল ৪টায়। এবারের উৎসবে ভারতের ৩টি এবং বাংলাদেশের ২৬ নাট্যদলের নাটক মঞ্চায়ন হবে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন বরেণ্য অভিনেতা নির্দেশক আলী যাকের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সম্মানিত অতিথি থাকবেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশ্ব আইটিআইয়ের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাট্যকার নির্দেশক অভিনেতা মামুনুর রশিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন উৎসবের সদস্য সচিব নাট্যজন আকতারুজ্জামান। উদ্বোধনী কোরিওগ্রাফি পরিবেশন করবেন সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রধান মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে প্রাচ্যনাচের নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোরের ‘কনডেম সেল’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে লোক নাট্যদলের (বনানী) নাটক ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’।
×