ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময়

ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১ অক্টোবর ২০১৭

ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

বিডিনিউজ ॥ ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। শনিবার শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ধর্মীয় উগ্রবাদ বর্তমানে বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোন ধর্মই সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদকে সমর্থন করে না। উগ্রবাদ অসহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। সামাজিক শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত করে। তাই ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালীর চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। শারদীয় দুর্গোৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন হোক আরও সুসংহত, বিশ্ব মানবতার জয় হোক- এ কামনা করি।’ বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্গাপূজা বাঙালী হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজার সঙ্গে মিশে আছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে দুর্গাপূজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি মানবতার সেবায় এগিয়ে এসে দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে বলেন রাষ্ট্রপতি। শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের বঙ্গভবনের দরবার হলে আপ্যায়ন করা হয়।
×