ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শক্তিশালী ইউরোপীয় নেতৃত্বই পারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে’

মধ্যপ্রাচ্যে শীতল যুদ্ধ শুরু করতে চান ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মধ্যপ্রাচ্যে শীতল যুদ্ধ শুরু করতে চান ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পথে পা বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া তার ভাষণ থেকে এর স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এটি ছিল তার প্রথম ভাষণ। ট্রাম্প সম্ভবত সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুুশের নীতি অনুসরণ করেই সংঘাতের পথ বেছে নিতে চান। -গার্ডিয়ান। ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যেতে চান, মঙ্গলবারের ভাষণে খোলাখুলিভাবেই সেটি বলেছেন। তার মতে, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের অনুকূলে নয়। এছাড়া পরমাণু ইস্যুর সঙ্গে জড়িত নয় ইরানের এমন কিছু নীতি তিনি এ বিষয়ের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প এমন অভিযোগও করেছেন যে চুক্তিটি উভয় পক্ষের স্বার্থ সমানভাবে রক্ষা করেনি, যদিও তার এই অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়। পুরোপুরি ইরান-মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে এ ধরনের চুক্তি বাস্তবে সম্ভব নয়। নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। কূটনৈতিক দর কষাকষির মাধ্যমেই ওয়াশিংটনকে তেহরানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোন ইচ্ছা নেই। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে এমন প্রশ্ন ওঠাও অস্বাভাবিক নয় যে ইরানকে কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার সামর্থ্য ট্রাম্প প্রশাসনের আছে কি না। ট্রাম্প ক্রমেই তার ইরান নীতি স্পষ্ট করে তুলেছেন। তিনি চান দেশটির সঙ্গে নয়া শীতল যুদ্ধ শুরু করতে। এভাবে চলতে থাকলে পরামণু সমঝোতা চুক্তিটি এক সময় অকার্যকর হয়ে পড়বে। ওই ভাষণে ট্রাম্প ইরানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মূল উৎস। তার মতে, ইরান হতে যাচ্ছে আরেকটি উত্তর কোরিয়া। পরমাণু চুক্তির ভাগ্য কংগ্রেসের কাছে ছেড়ে দিতে পারেন ট্রাম্প। কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সদস্যরা অবশ্য ওই চুক্তি এখনই বাতিল করতে ইচ্ছুক নন। মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প এই যে নয়া খেলা শুরু করতে যাচ্ছেন কেবলমাত্র ইসরাইল, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতই এটি সমর্থন করতে পারে। তারা চাইছে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যটি ২০০৩ সালের আগের অবস্থায় ফিরে আসুক। ২০০৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ইরাক যুদ্ধ শুরু করেন। সাদ্দাম পরবর্তী ইরাক মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্য বদলে দিয়েছে।
×