ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা জোরদার

রাম রহিমের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলার শুনানি শুরু

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাম রহিমের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলার শুনানি শুরু

ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলার শুনানি শনিবার শুরু হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারক জগদীপ সিংয়ের এজলাসে মামলা দুটির শুনানি শুরু হয়। একই আদালত গতমাসের ২৫ আগস্ট ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। ২৮ আগস্ট ২০ বছরের কারাদ- দেয়। হরিয়ানা পুলিশের ডিজি বিএস সাধু জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই আদালত চত্বরে আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে শহর-লাগোয়া এলাকাগুলোতেও। যদিও শনিবার আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবে না গুরমিত। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোহতকের সুনারিয়া জেল থেকে চলবে শুনানি। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার রায়ের আগে যেভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে লাখ লাখ ডেরা-ভক্ত আদালত প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয়েছিল এবার তা হয়নি। ২০০২ সালে খুন হন ‘পুরা সচ’ পত্রিকার সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতি। একই বছর খুন হন ডেরার সাবেক ম্যানেজার রঞ্জিত সিংও। এই জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রদেশের হাইকোর্ট। ২০০৭ সালে চার্জশীট দেয় সিবিআই। তাতে নাম ছিল গুরমিতের। ডেরা প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান নেই রাম রহিমের দত্তক কন্যা হানিপ্রীতের। পুলিশ শুধু রাজস্থান থেকে তার গাড়িচালককে আটক করেছে। নেপাল সীমান্তে হানা দিয়ে, লুক-আউট নোটিস জারি করেও হানিপ্রীতকে ধরা যায়নি। এদিকে হরিয়ানা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রামবিলাস শর্মা জানান, গত ১৫ আগস্ট ডেরার জন্য তিনি যে ৫১ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছিলেন, তা ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের মামলায় গুরমিত দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পঞ্চকুলা ও সিরসায় ডেরা ভক্তদের তা-বে ৩৮ জন নিহত হন। গতমাসের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য এবার শুরু থেকেই সতর্ক রয়েছে হরিয়ানা সরকার। গুরমিত জেলে যাওয়ার পরে অন্য স্বঘোষিত ধর্মগুরুরাও বিপদে পড়েছে। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ ১৪ জন ‘ভ- ধর্মগুরু’র নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুর নামও। ২০১৩ থেকে তিনিও জেলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেয়ার সময়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আসারাম। এক সাংবাদিক জানতে চান, আসারাম নিজেকে কোন দলে ফেলেন? জবাবে আসারাম বলেন, সাধু নই, আমি গাধা শ্রেণীর।
×