নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৫ সেপ্টেম্বর ॥ আমতলী উপজেলার রায়বালা গ্রামের আবদুল হক তালুকদার তার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী মাহমুদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতন শেষে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মাহমুদা বেগম আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের আবদুল হক তালুকদারের সঙ্গে মাহমুদা বেগমের ২০০০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলে মারধর করে আসছে। গত মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী এক লোকের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায় ওড়না দিয়ে হাত ও পা বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে টানিয়ে লাঠি দিয়ে পেটায় এবং কাঁচি দিয়ে মাথার সামনের চুল কেটে দেয়। মাহমুদার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
শুক্রবার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মাহমুদা শরীরের ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।
আহত মাহমুদা বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে হাবিব আকনের সঙ্গে কথা বলেছি এ মিথ্যা অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। ওড়না দিয়ে হাত ও পা বেঁধে আড়ার সঙ্গে টানিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায় কাঁচি দিয়ে মাথার সামনের চুল কেটে দেয়। তিনি কান্নাজনিক কণ্ঠে আরও বলেন, আর পারছি না। তিনটি সন্তানের মা হয়েও মিথ্যা অভিযোগ তুলে মারধর করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আহত মাহমুদার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা মীম বলেন, বাবা মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাহমুদার ডান পায়ের হাঁটু, বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ছেলের বউয়ের পা ভেঙ্গে দিলেন শ্বশুর
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া লোদা গ্রামের বেলাল মিয়ার স্ত্রী ফারজানা (২৭) নামের এক গৃহবধূর পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে শ্বশুর কামাল পাশা। আহত ফারজানা আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া লোদা গ্রামের বেলাল মিয়ার স্ত্রী ফারজানা গত বুধবার দুুপুরে ননদ লাইজুকে বাচ্চা কোলে নিতে বলে। এ নিয়ে ননদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। শ্বশুর কামাল পাশা ওই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না। শ্বশুর বাড়িতে আসার পরে ননদ বাবার কাছে বানিয়ে কথা বলে। এ শুনে শ্বশুর কামাল পাশা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে ছেলের বউ ফারজানাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায় পিটিয়ে বউয়ের পা ভেঙ্গে দেয়। খবর পেয়ে মা জাহানারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ফারজানা পায়ের ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। পায়ে ব্যান্ডেজ করা।
আমতলী স্বাস্থ্য বমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফারজানা বাম পায়ের গোড়ালির ওপরে ভাঙ্গা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: