ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফাঁকা শহর ঢাকায় এখনও উৎসব আমেজ

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফাঁকা শহর ঢাকায় এখনও উৎসব আমেজ

মনোয়ার হোসেন এখনও আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে ওঠেনি এই শহর। তাই যান্ত্রিক ও জনজটের নগরে বিরাজ করছে স্বস্তিকর পরিবেশ। গোটা রাজধানীজুড়েই ফাঁকা ফাঁকা ভাব, নেই কোন কোলাহল। যদিও কাগজে-কলমে শেষ হয়েছে ঈদের ছুটি। বাড়তি ছুটির সুবাদে সবাই যোগ না দিলেও খুলে গেছে সরকারী-বেসরকারী অনেক অফিস। তবে উৎসব উদযাপনে জুড়ি নেই যে বাঙালীর, সে জাতির উৎসব কি সহজে ফুরায়? ঈদ-উল-আযহার আনন্দময় সেই রেশটুকুই রাঙিয়ে রেখেছে শহর ঢাকাকে। প্রাণে প্রাণে বইছে অফুরন্ত আনন্দ-উচ্ছ্বাস। আর আনন্দপিপাসু বাঙালীর সত্তার কাছে ধর্মীয় উৎসবও হয়ে ওঠে সার্বজনীন। তখন আর থাকে না হিন্দু-মুসলমান কিংবা বৌদ্ধ-খ্রীস্টানের পরিচয়। উৎসবের সন্ধানে সবাই মেতে ওঠেন এক সুরে আনন্দের ঐকতানে । আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয় শুধুই নির্মল আনন্দের বারতা। সোমবার কর্মদিবস শুরু হলেও আশা করা যায় এই সুন্দর পরিবেশটি থাকবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। শনিবার ঈদের দিনে কোরবানির মাধ্যমে অন্তরের পশুত্ব বধ করে ত্যাগের মহিমায় শামিল হতে ব্যস্ত থেকেছে ঢাকাবাসী। তাই বেড়ানো কিংবা ঘোরাঘুরি করে মজার সময় পার করার দিনটি শুরু হয়েছে মূলত রবিবার থেকে। সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত শহরজুড়ে বিরাজ করেছে সেই সুখময় দৃশ্যকল্প। বায়ান্ন বাজার আর তেপান্ন গলির শহরে ছুঁয়ে গেছে বর্ণিলতা। অপার আনন্দে ভেসেছে শহরের নাগরিক হৃদয়। কর্মদিবসের শেষ হলেও সোমবার পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ছিল একদম ফাঁকা। নাড়ির টানি বাড়ি যাওয়া মানুষের মধ্যে জীবিকার টানে কিছুসংখ্যক ফিরে এলেও কাটেনি শহরের ছিমছাম ভাব। তবে অধিকাংশই এখনও ফিরতে পারেনি। সেই সুবাদে ফাঁকা এ শহরে আনন্দের সন্ধানে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছে বিনোদনপিপাসু নগরবাসী। যান ও জনজটের শহরটিতে যেন নেমে এসেছিল স্বস্তির অবকাশ। চিরচেনা যান্ত্রিক কোলাহলের পরিবর্তে ছিল প্রশান্তিময় পরিবেশ। ঈদ আনন্দে জনজটমুক্ত নীরব শহর সরব হয়েছে বিনোদনপ্রেমীদের মুখরতায়। ট্রাফিক জ্যামহীন শহরে মনের সুখে বেরিয়েছে শহরবাসী। ফাঁকা হওয়া ঢাকায় ক্রিং ক্রিং শব্দ তুলে চলেছে রিক্সা ভ্রমণ। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই পৌঁছানো গেছে কাক্সিক্ষত গন্তব্যে। ফলে ঘোরাঘুরিটাও হয়েছে আরামদায়ক ও স্বস্তিকর। ঢাকার সব রাস্তা যেন শাহবাগের শিশুপার্ক, মিরপুরের চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, শ্যামলীর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা কিংবা আহসান মঞ্জিলে গিয়ে ঠেকেছিল। সারা ঢাকা যে ফাঁকা হয়ে আছে তা বোঝার উপায় ছিল না এসব বিনোদন কেন্দ্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘুরে বেড়িয়েছেন এসক পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে। ঘোরাঘুরির তালিকায় বাদ যায়নি চন্দ্রিমা উদ্যান, সংসদ ভবনের চারপাশ, পুরান ঢাকার বলধা গার্ডেন, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, রমনা ও গুলশান পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানম-ি ও গুলশান লেক, বুড়িগঙ্গা ব্রিজসহ বিভিন্ন স্পট। দারুণ জমজমাট ছিল শহরের নতুন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়া হাতিরঝিল। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিসহ গোটা ক্যাম্পাস এলাকা পরিণত হয় বন্ধুদের আড্ডার মিলনকেন্দ্রে। ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম বা সাভারের নন্দন পার্কেও নানা রাইডে চড়ে উৎসব উদযাপন করেছেন অনেকে। আর ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ঘরে ঘরে চলেছে আতিথিবান্ধব বাঙালীর অতিথি আপ্যায়ন। মধুমিতা, স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা কিংবা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে নতুন আসা ছবিটি দেখেও আনন্দ উপভোগ করেছেন অনেক সিনেমাপ্রেমী। কেউবা আনন্দ খুঁজেছেন চ্যানেলে চ্যানেলে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখে। ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার থেকেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছে শহরবাসী। বড়দের সঙ্গে বাহারি রঙের পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছে শিশুরা। শুধু নতুন পোশাক পরলেই আনন্দ পূরণ হয় না, পোশাকের রঙের সঙ্গে মনের রং মেশাতে চাই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আর বিনোদন। ছিল না বাব-মার অনুশাসন আর বিধিনিষেধের কঠোরতা। মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর এটাই তো মোক্ষম সময়। শুধু আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো আর ঈদ সালামিতে তো মন ভরে না, চাই প্রকৃতির ছোঁয়া আর নানা রকম এ্যাডভেঞ্চার। আর ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেলেও সোনামণিদের কলকাকলিতে রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল উৎসবমুখর। নানা উৎসব আয়োজনে তিলোত্তমা ঢাকা হয়ে ওঠে আনন্দ নগরী। ছোটদের কলরবে মুখরিত শিশুপার্ক ঈদের প্রথম দিন শনিবার থেকেই খোলা ছিল আনন্দ উদযাপনে সোনামণিদের তীর্থস্থান শিশুপার্ক। তৃতীয় দিন সোমবার পর্যন্ত সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি খুদে বন্ধুদের মুখরতায় সরব থাকে তাদের এই প্রিয় প্রাঙ্গণটি। রোমাঞ্চ চক্র, আনন্দ ঘূর্ণি, উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নভোযান, ঝুলন্ত চেয়ার, লম্ফঝম্ফ, ব্যাটারিকার, এফ-সিক্স জঙ্গীবিমান, রেলগাড়ি ও বিস্ময় চক্রসহ ১১টি রাইডার নিয়ে শিশুদের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত ছিল শাহবাগের শিশুপার্ক। শনিবার অভিভাবকদের ব্যস্ততার কারণে মনের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেনি পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের খুদে বাসিন্দা অনীক। তাই রবিবার সকাল থেকে শিশুপার্কে বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরে মায়ের কাছে। অবশেষে দুপুর ১টায় সন্তানকে নিয়ে মা সামেরা জামাল হাজির হন শিশুপার্কে। বিভিন্ন রাইডে চড়িয়ে সন্তানের মন ভুলিয়েছেন এই গৃহিণী। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া ১০ বছর বয়সী মৌরি আক্তার শিশুপার্কে বেড়াতে আসার আনন্দ প্রকাশ করে জানায়, আমার কাছে ঈদের দিনের সবচেয়ে বড় আনন্দ এই পার্কে ঘুরে বেড়ানো আর বিভিন্ন রাইডে চড়ে মজা করা। চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হৃদয়ের মন্তব্য, শিশুপার্কে ঢুকলেই মনটা ভরে যায়। এখানে নানা ধরনের জিনিস দেখতে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রাইডে চড়া যায়। সোমবার দুপুরে গাজীপুর থেকে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে আরিয়ান রহমানকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। বাপ-বেটা মিলে ঈদের দিনটিকে দারুণ উপভোগ করেছেন। আতাউর রহমান বললেন, ফ্যান্টাসি কিংডম বা নন্দন পার্কে বাচ্চাদের জন্য অনেক ধরনের রাইড থাকলেও শিশুপার্ক হিসেবে আমি শাহবাগের শিশুপার্কটিকেই পছন্দ করি। এখানে বেশকিছু রাইড আছে যা অন্য পার্কগুলোয় নেই। শ্যামপুর থেকে বেড়াতে আসা নুরনাহার, সুমি, সালমা, লিজা, জুলেখা, নীপা ছয় বান্ধবী দারুণ আড্ডা জমিয়েছে ঘাসের জমিনে। সব মিলিয়ে শিশুমেলায় পরিণত হয়েছিল শাহবাগের এই উদ্যানটি। ব্যাপক জনসমাগম ঘটায় বিভিন্ন রাইডে চড়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে সবাইকে। শিশুপার্কের প্রবেশপথের সামনে হাওয়াই মিঠাই, বেলুন, রঙ্গিন বল, ময়ূরের পাখা, বরই আর আমসত্ত্বের দোকানগুলোতেও খুদে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। প্রাণিরাজ্য চিড়িয়াখানায় জনসমাগম ঈদের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে ওঠে মিরপুর চিড়িয়াখানা। ৩০ টাকার একটি টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকলেই পাওয়া যায় উন্মুক্ত প্রান্তর। দিনভর উপভোগ করা যায় নানা জাতের পশু-পাখির বিচরণ। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের কাছে আকর্ষণীয় মিরপুর চিড়িয়াখানা ঈদের দিন দুপুর থেকে টানা তিন দিন হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। আর দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ঈদের তিন দিন অগণন মানুষের জমজমাট ছিল চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীরা মনভরে উপভোগ করেছেন বাঘের গর্জন, বানরের চেঁচামেচি, বেবুনের ভেংচি, উটপাখির দৌড়াদৌড়ি, জলহস্তির ডুবসাঁতার, ময়ূরের নাচ, নানা জাতের সাপের ধীরগতিতে পথচলা- আরও কত কী? সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় বানরের খাঁচার সামনে। কারণ অন্য প্রাণী চিড়িয়াখানায় আসার পর তাদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য সামান্য হলেও হারিয়ে ফেলে। কিন্তু বানরের বাঁদরামি এখানে বিন্দুমাত্র কমে না। তারা সব সময়ই প্রাণবন্ত থাকে ও সারাক্ষণ খাঁচার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত লাফালাফি করতে থাকে। শিশু-কিশোরও অনেক সময় যোগ দেয় তাদের বাঁদরামোর সঙ্গে। অনেকেই শিশু-কিশোরসহ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দিনভর চিড়িয়াখানার পশু-পাখি দেখে সময় কাটান। বাসা থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা নানান খাবার খান হাতে হাতেই। চিড়িয়াখানায় ঈদের প্রথম দিন থেকেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। দ্বিতীয় দিন রবিবার বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে সেখানে। টিকেট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রবেশপথ সবজায়গাতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় দেখা গেছে। ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক শ্যামলীর শিশুমেলার বর্তমান পরিবর্তিত নামটি হচ্ছে ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক। এখানেও দেখা গেছে ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের হৈ-হুল্লোড়। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানরা মনের আনন্দে চড়ে বেরিয়েছে দোলনা, ব্যাটারি কারসহ বিভিন্ন রাইডে। অসংখ্য রাইডের সঙ্গে ছিল দুটি থ্রিডি ইউনিট। এছাড়া পরিবারের সবার চড়ার মতো ১৩টি রাইডও উপভোগ করেছেন বড়রা। ওয়ান্ডারল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হুদা জানান, ঈদের প্রথম সাত দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ওয়ান্ডারল্যান্ড। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। রাইড ফি ৪০ টাকা। জাতীয় জাদুঘর দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে জাতীয় জাদুঘর। তাই তো এখানে এসে অনেকেই স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন স্বজাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এছাড়া এবার ঈদ আনন্দ বড়িয়ে দিতে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা জাদুঘরে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিনা টিকেটে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। দুই দিনে দেখানো হয় বাংলাদেশের ‘অমি ও আইসক্রিমওয়ালা, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘গাড়িওয়ালা’ এবং বিদেশী চলচ্চিত্র ‘দি জঙ্গল বুক’, ‘হ্যারি পটার’, ‘চিল্ড্রেন অব হেভেন’ ও ‘জুরাসিক পার্ক’। হাতিরঝিল ঈদ আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে পরিবার কিংবা প্রিয়জনের হাত ধরে রাজধানীর হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়িয়েছেন নানা বয়সী মানুষ। কেউ সোনামণিদের হাত ধরে হাঁটাচ্ছেন আবার দলবেঁধে তরুণ বন্ধুরা মিলে দিয়েছেন জম্পেশ আড্ডা। হাতিরঝিলের বুকে সন্ধ্যার পর ছিল আকর্ষণীয় মিউজিক্যাল ওয়াটার ড্যান্সিং শো। ছিল প্যাডেল বোট ও ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে হাতিরঝিল ভ্রমণের সুযোগ। সব মিলিয়ে নান্দনিক পরিবেশ যেন একাকার করে দিয়েছে সবাইকে। হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক (রাজউক) জামাল আকতার ভূঁইয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন রাত ৯টায় এই শো অনুষ্ঠিত হবে। লালবাগ কেল্লা ও অন্যান্য ঈদের ছুটির প্রথম দিন থেকেই লালবাগ কেল্লায় নামে মানুষের ঢল। অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এ কেল্লায় আনন্দঘন কিছুটা সময় কাটাতে। জেনে নিয়েছেন ১৬১০ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই ঐতিহাসিক স্থাপনার নানা বিষয়। ফ্যান্টাসি কিংডম ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম রবিবার সকাল থেকে পূর্ণ ছিল। কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের হেড অব মিডিয়া এ্যান্ড পিআর মাহফুজুর রহমান টুটুল জানান, ঈদের প্রথম সাত দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ফ্যান্টাসি কিংডম ও ওয়াটার কিংডম। ফ্যান্টাসি পার্কে বড়দের প্রবেশমূল্য ৪০০ টাকা। ছোটদের (পাঁচ ফুটের নিচে) ২৫০ টাকা। নন্দন পার্ক সাভারের নবীনগরের বারুইপাড়ায় অবস্থিত নন্দন পার্কও ছিল নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর। এখানে সপ্তাহজুড়ে চলবে ঈদ আয়োজন। পার্কে সাধারণ প্রবেশমূল্য ২৯৫ টাকা। সব রাইড উপভোগ করতে লাগবে জনপ্রতি (খাবারসহ) ৮৯৫ টাকার মতো। খাবার ছাড়া জনপ্রতি ৬৯৫ টাকা। ফ্যামিলি প্যাকেজ (চারজনের খাবারসহ) ৩,৪০০ টাকা। প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাপ্রেমীদের ভিড় এবারের ঈদ-উল-আযহার উৎসবে মুক্তি পেয়েছে তিনটি চলচ্চিত্র ‘রংবাজ’, ‘অহংকার’ ও ‘সোনাবন্ধু’। এসব চলচ্চিত্র উপভোগ করার জন্য রাজধানীর সিনেমা হলগুলোতে ছিল দর্শকের উপচেপড়া ভিড়। বসুন্ধরা শপিংমলের স্টার সিনেপ্লেক্সসহ সারাদেশের দেড় শতাধিক হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান ও শবনম বুবলী অভিনীত ছবি রংবাজ।
×