ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১০ আগস্ট ২০১৭

মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে  ৫.৫৭ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির তথ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বুধবার মাসিক ভিত্তিতে দেয়া তথ্যমতে গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য দেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির তথ্য হালনাগাদ করে থাকে। এর আগে প্রথা ভেঙ্গে গত জানুয়ারি-মার্চ এবং এপ্রিল-জুনের মূল্যস্ফীতির তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়েছিল। মূল্যস্ফীতির গতি উর্ধমুখী ছিল তখন। এপ্রিল-জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। অবশ্য তার আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যের দাম কমেছে। মে মাসে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন ৭১৪ মার্কিন ডলার। জুন মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৭০৫ ডলার। আবার মে মাসে চিনির দাম প্রতি টন ৩৪৬ ডলার; জুন মাসে ৩০৩ ডলার। তবে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। মে মাসে চালের টনের দাম ছিল ৪০৩ ডলার, জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪৫ ডলার। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম আরও কমবে বলে তিনি মনে করেন। মূল্যস্ফীতিতে চালের দাম প্রধান ভূমিকা রাখে, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমল কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়ে ঢাকা শহরে। গ্রামে চালের দাম বাড়ে না। সরকার ভিজিএফের মাধ্যমে চাল বিতরণ করছে। তাছাড়া গ্রামের মানুষ শহরের তুলনায় কম দামেই চাল পায়। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে। বিবিএসের তথ্যউপাত্ত অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত-উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত জুলাই মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে এ হার ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৩.৬৭ শতাংশ। বিবিএসসের হিসাব অনুযায়ী জুলাই মাসে গ্রাম এবং শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
×