ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে ২১ বসতি সাগরে বিলীন

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৯ জুলাই ২০১৭

সেন্টমার্টিনে ২১ বসতি সাগরে বিলীন

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ২১টি বসতবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি অবিরাম বর্ষণে অমাবস্যার ‘জো’ তিথিতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের উত্তর কোণায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গনে বসতবাড়ি ও ভিটেহারা ২১টি অসহায় পরিবারের নারী পুরুষ শিশু নিরুপায় হয়ে বর্তমানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে এবং বর্ষার শুরুতে দ্বীপের উত্তর এবং পশ্চিম অংশে ভাঙ্গন ধরেছিল। কিন্তু এবারে ২১টি পরিবারের বসতভিটা সম্পূর্ণ সাগরের করাল গ্রাসে চলে গেছে। মেম্বার ফরিদ আহমদ জানান, ভয়াবহ ভাঙ্গনে বসতবাড়ি ও ভিটেহারা ২১টি অসহায় পরিবারের নারী-পুরুষ শিশু মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। মেম্বার হাবিবুর রহমান খান প্রকাশ হাবিব খান জানান, শীতে পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি দেশী-বিদেশী পর্যটক ভিআইপি, পদস্থ কর্মকর্তা সকলের কাছে স্বপ্নের দ্বীপ হয়ে যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এই দ্বীপের কথা কারও মনে থাকে না। অসহায় দ্বীপবাসীর কান্না তাদের কর্ণকুহরে পৌঁছে না। এমনকি ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী উদ্যোগ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ পর্যন্ত নেয়া হয় না। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি দ্বীপের বিভিন্ন অংশে উত্তর-পশ্চিম অংশে ভাঙ্গন শুরু হলে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন মহলকে অবহিত করেন। এমনকি দ্বীপের চতুর্দিকে পরিবেশসম্মত টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ ছাড়াও টেকনাফ উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করে দ্বীপের ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। বর্তমানে দ্বীপের উত্তরাংশের বসতবাড়ি, প্রাচীনতম একমাত্র কবরস্থান, পুলিশ বাহিনীর জমি চরমভাবে হুমকির সম্মুখীন। জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ স্থাপন অথবা বাঁধ নির্মাণ করা না হলে ভাঙ্গন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
×